বর্ণ-বৈষম্য ও পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র’র সিয়াটল

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল শহরে বর্ণ-বৈষম্য ও পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে ‘দাঙ্গা’ হিসেবে অ্যাখায়িত করেছে পুলিশ। জন নিরাপত্তার স্বার্থে দাঙ্গা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।

পোর্টল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, শহরের বিভিন্নস্থানে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বেশ কয়েকজন উগ্র আন্দোলনকারী। পুলিশের ওপর হামলার পাশাপাশি বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করেছে বলেও দাবি করে প্রশাসন। বিক্ষোভকারীদের হামলায় আহত হয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার (২৫ জুলাই) পোর্টল্যান্ড শহরে আটক হওয়া ১৮ বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন মার্কিন প্রসিকিউটররা। পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগসহ বেশ কিছু অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি আরও জটিলের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল ২৫ জুন পুলিশি নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদের পাশাপাশি পুলিশের নির্যাতনের বিরুদ্ধে গতকাল শনিবার (২৫ জুলাই) কয়েক হাজার মানুষ শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত বেধে যায়। তবে পুলিশ সশস্ত্র অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীদের ওপর অস্ত্র ব্যবহার করেনি বলে দাবি প্রশাসানের।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বর্ণ-বৈষম্য ও পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রায় দুই মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিকাগোসহ দেশটির বড় বড় শহর ও অঙ্গরাজ্যগুলোতে ফেডারেল পুলিশ ও সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তার দৃষ্টিতে বিক্ষোভকারীরা ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘লুটেরা’! বিক্ষুব্ধরা দাস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ও অন্য অনেক ঐতিহাসিক ব্যক্তির মূর্তি ভাঙ্গতে থাকায় ট্রাম্প তাদেরকে দশ বছরের কারাদণ্ডের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। সম্প্রতি পোর্টল্যান্ড শহরের বিক্ষোভ দমনের জন্য সেখানে ফেডারেল বাহিনী পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাম্প।

কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সমালোচনা করেছে ডেমোক্র্যাট ও সিভিল লিবার্টি গ্রপগুলো। তাদের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছত্রছায়ায় তা হচ্ছে।

অনলাইনে প্রকাশিত বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, সাদা পোশাকের কর্মকর্তারা শক্তি প্রয়োগ করছেন এবং গাড়িতে করে গ্রেফতারকৃত বিক্ষোভকারীদেরকে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই গাড়িগুলো কাদের সেটাও লেখা নেই। মানবাধিকার আইনজীবীরা মনে করছেন, গ্রেফতারের এ ধরনের কৌশলগুলো বিক্ষোভকারীদের মুক্তভাবে মত প্রকাশের অধিকার লঙ্ঘন করে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.