বর্ণালীর মৃত্যুর বিচার দাবি

জাবি প্রতিনিধি:  গত ২ জুলাই রাতে রাজধানীর বনশ্রীতে বর্ণালী মজুমদার নামে এক নারীর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তাঁরা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে বর্ণালীর চাচাতো বোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী পূজা মজুমদার বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘আমার বোনের মৃত্যুর সঠিক বিচার চাই। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যেন বের হয়ে হয়ে আসে। আত্মহত্যা হলে তার পেছনে প্ররোচনাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি আর যদি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হয়ে থাকে তাহলে দোষীদের সর্বো”চ শাস্তি চাই।’
সহকারী অধ্যাপক সালমা আহ্মেদ বিটিসি নিউজকে বলেন, আমরা এভাবে আর কোন মৃত্যু চাইনা। আর কোন নারীকে যেন এভাবে মৃত্যুবরণ করতে না হয়। তাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের সামনে দাঁড় করানো হোক।
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি শেখ আদনান ফাহাদ বলেন, বর্ণালী মজুমদার আমাদের রাষ্ট্রের অনেক নির্যাতিত নারীর প্রতিনিধি। আমরা জানতে পেরেছি বর্ণালীর শ্বশুরের পরিবারে একজন পুলিশে চাকরি করেন। পুলিশ শুধু নিহতের স্বামীর নামে মামলা নিয়েছে। শুধু একজনের জন্য পুলিশ ডিপার্টমেন্টের অর্জন ম্লান হতে পারেনা। আমরা আশা করবো দোষীর পরিবারকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। এ সময় আরো উপস্থিাত ছিলেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক মৃধা মো. শিবলী নোমান, শারীরিক শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিচালক এস এম সাদাত হোসেন প্রমুখ।
জানা যায়, রাজধানীর বনশ্রী এ-ব্লকের একটি বাসা থেকে ২ জুলাই রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থাায় বর্ণালীর স্বামী মিথুন দে রাহুল তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ৫ বছর পূর্বে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বাবুল মজুমদারের মেয়ে বর্ণালী মজুমদারের সঙ্গে পৌর ৬নং ওয়ার্ডের চুনি লাল দে’র ছেলে মিথুন দে ওরফে রাহুলের পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয়। হত্যার আগে ঢাকার বনশ্রীতে স্বামীর সাথেই থাকতো বর্ণালী।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর জাবি প্রতিনিধি মো. ফারুক হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.