নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবার ভিন্ন আবহে উদযাপিত হলো। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় ঢাকার রমনা রেস্তোরাঁয় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছিল দেশের অন্যতম বৃহৎ এই রাজনৈতিক দল। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গণমানুষের অধিকার ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পতাকাবাহী সংগঠন হিসেবে বিএনপি আজও রাজপথে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
দীর্ঘ দেড় যুগের দমন-নিপীড়নের পর বিএনপি এবার প্রকাশ্যে, অনুকূল পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের সুযোগ পেল। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন উদ্দীপনা ফিরে পায় দলটি। ফলে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুধু স্মৃতিচারণ নয়, বরং নতুন যুগের পথচলার অঙ্গীকার হিসেবেও ধরা দিয়েছে।
রাজশাহীতে নানা আয়োজন ও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিনভর উদযাপিত হয় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দলীয় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে নগরজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় বাটার মোড় থেকে বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলুপট্টিতে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে বাটার মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন-নিপীড়নের কারণে বিএনপির কার্যক্রম প্রকাশ্যে পালন করা যায়নি। আজ রাজশাহীতে লাখো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, বিএনপি এখনও দেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) আমিরুল ইসলাম খান আলীম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সাবেক মেয়র ও এমপি, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন শওকত খালেক, সাবেক মেয়র ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ত্রাণ ও পূর্ণবাসন সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নজরুল হুদা ও সাবেক সদস্য সচিব মুনমুনুর রশিদ মামুন, জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাফিক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়ালিউল হক রানা, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন শিবলীসহ, জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া মহানগরের ৩০ ওয়ার্ডের বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জাতীয়তাবাদী নেসকো বিদ্যুৎ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসহ জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
নেতারা দাবি করেন, রাজপথে বিএনপির শক্তিশালী উপস্থিতিই প্রমাণ করছে—দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিএনপির বিজয় অনিবার্য।
প্রায় লক্ষাধিক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে পুরো রাজশাহী নগর রূপ নেয় জনসমুদ্রে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.