বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে বার্তা সুনাকের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার বার্তা দিলেন ব্রিটেনের প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। জানালেন, ছোটবেলায় তাকেও নানা ভাবে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে। একই সঙ্গে জাতি ও বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
বর্ণবিদ্বেষ বিতর্কে গত কয়েক দিন ধরেই সরগরম ব্রিটেন। বিতর্কের জল এত দূর গড়িয়েছে যে শেষমেশ রাজ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজপরিবারের বহু পুরনো এক সহকারীকে। সম্পর্কে তিনি ব্রিটিশ যুবরাজ উইলিয়ামের ‘গডমাদার’। এখন কুইন কনসর্ট ক্যামিলার সহকারী হিসেবেও কাজ করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার বাকিংহাম প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হিসেবে হাজির ছিলেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত গোজ়ি ফুলানি। সেই অনুষ্ঠানে অতিথিদের দেখভালের দায়িত্বে সুজ়ান হাসি। গোজ়ির অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠানে তাকে বারবার সুজ়ান জিজ্ঞেস করতে থাকেন যে তিনি কোন দেশের বাসিন্দা। সেই অনুষ্ঠানের পরের দিন বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন গোজ়ি। কালো বলেই তাকে এ ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
প্রথমে এ নিয়ে নীরবই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী সুনাক। তবে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে ছোটবেলায় তাকেও নানা হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ঋষি জন্মেছেন ব্রিটেনে। সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান, তার দেশে এখন এই ধরনের জাতি ও বর্ণবিদ্বেষগত বৈষম্য অনেকটাই কমেছে।
তবে সেই সঙ্গেই তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, কখনও কেউ এই ধরনের হেনস্থার শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গেই তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বলেছেন, ‘‘আমাদের আরও উন্নত ভবিষ্যতের দিকে যাওয়ার পন্থা শিখতে হবে।’’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.