বর্জিত সকল মানুষদের পাশে পরম মমতাময় পরম স্নেহে সারাজীবন ছিলেন মমতাময়ী মাদার তেরেসা
১৯৪৬ সালে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার সময় বহু মানুষ মারা যায়। এসব ঘটনা তেরেসার মনকে গভীর গভীর ভাবে নাড়া দেয়। সম্পূর্ণভাবে মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করার সংকল্পে লোরেটো স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিলেন। হাতে মাত্র পাঁচ টাকা সম্বল করে স্কুলের সাজানো ফুলের বাগান, স্নিগ্ধ পরিবেশ, সুখময় নিশ্চিন্ত জীবন ফেলে এসে আশ্রয় নিলেন শিয়ালদহ রেলস্টেশন-সংলগ্ন এক পুরনো ভাঙা বাড়িতে।
কোন মহামানব ই তাঁর কাজের স্বীকৃতি চায় না কিন্তু তবুও সাধারণ মানুষ তাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে স্বীকৃতি প্রদানের মধ্য দিয়ে। ১৯৬২ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করেন। পরে দুস্থ মানবতার সেবায় আত্মোৎসর্গের স্বীকৃতিস্বরূপ মাদার তেরেসা ১৯৭৯ সালে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পুরস্কার নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৭১ সালে পোপ জন শান্তি পুরস্কার, ১৯৭২ সালে জওহরলাল নেহরু, ১৯৮০ সালে ভারতরত্ন, ১৯৮৫ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম, ১৯৯৪ সালে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল সহ বিভিন্ন দেশের অসংখ্য পুরস্কার ও সাম্মানিক উপাধিতে ভূষিত হন।
ক্ষুদার্থ,নগ্ন,গৃহহীন,আত্ম-নি
অবশেষে আসে সেই দুঃখ ঘন মুহূর্ত। ১৯৯৭ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর ইহলোকের সমস্ত কর্মকাণ্ডের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে অমৃতলোকে যাত্রা করেন মহামানবী।
২০১৬ সালে অর্থ্যাৎ তাঁর মৃত্যুর ১৯ বছর পর পোপ ফ্রান্সিস আমাদের সকলের প্রিয় মাদার টেরেসাকে “সন্ত” হিসাবে ভূষিত করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.