বরিস জনসনের নেতৃত্বের ব্যর্থতা প্রমাণিত!

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মদের আসরের অভিযোগের বহুল প্রতীক্ষিত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩১ জানুয়ারি) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে নেতৃত্বের ব্যর্থতার প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে পার্লামেন্ট সদস্যদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন বরিস জনসন। এসময় তার পদত্যাগের দাবি করেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। তবে চাপের মুখে সুর নরম করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালে ব্রিটেনে করোনা ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন আরোপ করে বরিস সরকার। সীমিত করা হয় সাধারণ মানুষের চলাচল। ওই সময়টায় পুরো দেশকে লকডাউনে অবরুদ্ধ করে রাখলেও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে বাসভবনে জন্মদিন পালনসহ বেশ কয়েকটি পার্টি করার অভিযোগ উঠে। শুরু হয় তদন্ত।
সোমবার বহুল কাঙ্ক্ষিত সেই তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে বরিসের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা সু গ্রের নেতৃত্বে করা তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবনের পার্টিগুলো লকডাউনের স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় মারাত্মক ব্যর্থ। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বিভিন্ন বিভাগের নেতৃত্বের ও বিবেচনার ব্যর্থতা ছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পার্লামেন্টের ওই প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেন ব্রিটিশ এমপিরা। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বরিস জনসনের কঠোর সমালোচনা করেন তারা। নিয়ম লঙ্ঘন করে পার্টির আয়োজন করায় বরিসের পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা।
সু গ্রের এই তদন্ত প্রতিবেদন জনসনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা নতুন নেতৃত্বের জন্য ভোট দিতে বাধ্য হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.