বরিশালে দুই ‘গায়েবি’ মামলা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীরা

 

বরিশাল ব্যুরোবরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দুটি থানায় পৃথক দুটি ‘গায়েবি’ মামলায় আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা।
গত ১১ এবং গত ২৩ অক্টোবরের মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ এবং শতাধীক ব্যাক্তিকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা দুটি করেছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের দুই নেতা।
এদিকে মামলা দুটিকে মিথ্যা হয়রানি এবং নির্বাচনের মাঠকে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কর্মী শূন্য রাখার অপকৌশল হিসেবে দেখছেন স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা মেজবা উদ্দিন ফরহাদ।

কিন্তু দুই থানার পুলিশ কর্মকতার দাবী, বাদীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কাউকে অযথা হয়রানি করা পুলিশের কাজ নয় বলে তাদের দাবী।
জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানায় ১৪ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত অনেক উল্লেখ করে একটি নাশকতার মামলা করে স্থানীয় ভাষানচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জসিম ফকির।মামলায় বাদী উল্লেখ করেন- আসামীরা সকলে মিলে স্থানীয় একটি বক্স কালভার্ট গুড়িয়ে দেয়।

একইভাবে গত ১১ অক্টোবর মেহেন্দিগঞ্জ থানায় ২৬ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত শতাধীক উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলার চানপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আলতাফ হোসেন সিকদার।

উক্ত মামলায় বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন ৩ কিলোমিটার সাপ্লাই পানির পাম্প বিকল করে দেয় আসামীরা। যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই।
একইভাবে দায়েরকৃত ওই মামলার ১৩ নম্বর আসামি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ফিরোজ গত তিনবছর যাবত এলাকায় থাকেন না। তিনি ঢাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বিটিসি নিউজকে বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে নাশকতা মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন খানও একইভাবে মামলা নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
তবে এজহারের সাথে বাস্তবের মিল রয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।

বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, ‘গায়েবি’ মামলা দায়েরের কোনো সুযোগ নেই। তবে দায়েরকৃত মামলা দুটির খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.