বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: বিপৎসীমার ওপরে ধরলা-ব্রহ্মপুত্র, ১৫টি পয়েন্টে ভাঙন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো। এছাড়া তলিয়ে গেছে কিছু ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি এবং জেলার ১৫টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। এতে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য নদ-নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
এদিকে নাগেশ্বরী, রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, ভুরুঙ্গামারী, উলিপুর, ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও সদর উপজেলার নদ-নদীর তীরবর্তী চর-দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে এবং ১৫টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দারা বিটিসি নিউজকে জানান, ধরলার পানি বাড়ার কারণে এলাকার বিভিন্ন ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বিটিসি নিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আরো দু’একদিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকতে পারে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বিটিসি নিউজকে জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও তালুকশিমুল বাড়ি পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমান হৃদয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.