বন্যায় রক্ষা পাওয়া ৩৬০ হেক্টর জমিতে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি

নাটোর প্রতিনিধি: বন্যার কবল থেকে অভিনব কায়দায় ৩৬০ হেক্টর জমির ফসল রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর এলাকার কৃষকরা।
ওই এলাকার দিগদারিয়া বিলে বাঁশ, পলিথিন ও নেটজাল দিয়ে ৩০০মিটার জায়গায় বেড়া তৈরি করে বাঁধ নির্মানের পর ওই ফসলি জমিগুলো রক্ষা করা হয়েছিলো।
তবে অভিনব পদ্ধতিতে ফসল রক্ষার চেষ্টা ও গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেনের আর্থিক সহযোগিতায় এলাকার কৃষকদের স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে সফলতার মুখ দেখেছে এলাকাবাসী। ওই জমিগুলোতে রোপন করা হয়েছিলো ধান। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় এখন প্রতিটি কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
আজ শনিবার সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দিঘদারিয়া বিলের ধান কাটা কাজের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন , উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ আবু রাসেল, বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ মোজাম্মেল হক ও দিঘদারিয়া বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি. এর সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মোঃ ফিরোজুল ইসলাম।
কৃষক আব্দুস সালাম ও দুলাল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, নিজেদের জমির ফসল বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে তারা স্বেচ্ছাশ্রম এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের অর্থায়নে বাঁশ, পলিথিন, নেট দিয়ে ৩০০মিটার বাঁধ/বেড়া দিয়ে ফসল রক্ষা করেছিলেন। ফসল রক্ষার চেষ্টা করে আমরা এখন সফল। তারপরও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটা মাড়াই শেষে আমরা ফসল বিক্রির টাকা দিয়ে সংসারের খরচ ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা নির্বিঘেœ চালিয়ে যেতে পারবো। গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকার সকল কৃষক।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর এলাকায় অবস্থিত দিগদাড়িয়া বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ। সমিতির সভাপতি হিসাবে এবং একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে সকল সময়ে কৃষকের পাশে থেকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করেছি। যে কোন দুর্যোগে তাদের পাশে থেকে সাহস যুগিয়ে উৎসাহ দেওয়া হয়। বর্ষার শুরুতেই যখন বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গা শুরু হয়েছিলো তখনি বাঁধটি সংস্কার করে দিয়েছিলাম। তারপরও নতুন করে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিলে পানি প্রবেশ করছিলো।
এলাকার কৃষকদের স্বেচ্ছাশ্রমে এবং আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেওয়া ২০ হাজার টাকা দিয়ে বাঁশ, বাঁশের চারাট, পলিথিন ও নেট ক্রয় করে ৩০০ মিটারের একটি বাঁধ/বেড়া তৈরি করে পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছিলো। বন্যার সময়ে বাঁধ দিয়ে ৩৬০ হেক্টর জমির ফসল রক্ষা করার কারনে আজ প্রতিটি কৃষক তাদের ঘরে নির্বিঘেœ ফসল তুলতে পারছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.