নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে ৩০ কেজি গাঁজাসহ সায়েম হোসেন (৩৪) নামে এক কাভার্ডভ্যান চালককে আটক করেছে পুলিশ। তবে অজ্ঞাত কারণে তাকে মাত্র সাত কেজি গাঁজাসহ মামলা দিয়ে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দিনগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে উপজেলার ছাতিয়ানগাছা মোল্লাপাড়া মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আটক সায়েম লালমনিরহাট জেলার সিংগাদার গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
এদিকে, গত ২৯ আগষ্ট উপজেলার রাজাপুর থেকে ৫ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পরে থানায় পৌঁছানোর প‚র্বেই তা ৫০ গ্রাম হয়ে যায়। এ ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে বারোটার দিকে দুই জন লোক ছাতিয়ানগাছা মোল্লাপাড়া মোড়ে একটি নীল রঙের কাভার্ডভ্যান থেকে দুজন লোক একটি বস্তা নামাচ্ছিলেন। এ সময় দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী চোর সন্দেহে ধাওয়া দিলে তারা বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। তবে কাভার্ডভ্যানের চালককে আটক করে গ্রামবাসী।
পরে পুলিশে খবর দিলে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩০ কেজি গাঁজা ও বহনকারী কাভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ন-২৩-৩৬৯৬) জব্দসহ ওই চালককে আটক করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আসাদুল ইসলাম জানান, পুলিশের সামনেই বস্তাটি খোলা হয়। এ সময় বস্তার ভেতরে কালো পলিথিনে মোড়া ১৩ টি প্যাকেট বোঝাই গাঁজা ছিল, যার ওজন কমপক্ষে ৩০ কেজি হবে।
এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের খবর দিতে চাইলে এবং কাভার্ডভ্যানে আরো গাঁজা আছে কিনা দেখতে চাইলে উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক এলাকাবাসীর সাথে ক্ষিপ্ত হন এবং দুর্ব্যবহার করেন।
ছাতিয়ানগাছা গ্রামের নজরুল ইসলাম ও মুস্তাক জানান, আমরা দুই হাত দিয়ে বস্তা তুলে পরিমাপ করেছি, সেখানে কোন ভাবেই ৩০ কেজির কম হবে না। এ সময় আমরা বার বার ডিজিটাল দাঁড়িপাল্লা এনে মাপতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা মাপতেও দেননি। এখন শুনছি, সেখানে মাত্র ৭ কেজি গাঁজা জব্দ দেখিয়ে অজ্ঞাত দুইজনসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় খুবই বিস্মিত হয়েছি। আমরা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে যথাযথ তদন্ত করে অবশিষ্ট গাঁজাগুলো কোথায় গেল সেটা বের করার দাবি জানাচ্ছি।
উদ্ধার করা গাঁজার পরিমাণ নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের ব্যাপারে জানতে উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাকের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, গতরাতে কর্তব্যরত অফিসার ৭ কেজি গাঁজাসহ একজনকে থানায় সোপর্দ করেছেন। পরে অজ্ঞাত দুই ব্যাক্তিসহ তিনজনের নামে মামলা করা হয়েছে। গাঁজার পরিমাণ কমবেশি হলে সেটা ওই কর্মকর্তা বলতে পারবেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.