বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়া জড়িত : আইনমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান যে জড়িত, এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটা দিনের আলোর মতো সত্য যে জিয়াউর রহমান এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, যখন এ মামলার তদন্ত হয়, তখন তাকে আসামি করা হয়নি কেন? আপনারা জানেন, জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে হত্যার শিকার হয়েছেন, সেজন্য তাকে আসামি করা হয়নি। কারণ বাংলাদেশের আইনে মরণোত্তর বিচারের কোনো বিধান নেই।
তিনি বলেন, আমাদের আইনে মরণোত্তর সাজা দেওয়ার কোনো বিধান নেই। সেজন্য আইনের বাইরে গিয়ে আমরা শুধু তামাশা করার জন্য একজনকে সাজা দেব না। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত এবং সেটার যে সাক্ষ্য-প্রমাণ এ কমিশনের (বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে গঠন করা কমিশন) মাধ্যমে, সেটা জনসম্মুখে আমরা উপস্থান করব।
তিনি বলেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার দায়ে যারা সর্বোচ্চ আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত, যাদের ব্যাপারে এখনো এ রায় কার্যকর করা যায়নি পলাতক থাকার কারণে এবং দু’জন দু’টি দেশে থাকার কারণে, তাদের ফিরিয়ে এনে এ রায় কার্যকর করার ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। সরকার নয়, আওয়ামী লীগ যতক্ষণ থাকবে, আমার মনে হয়, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর অনুসারী একজন থাকলেও তার হত্যাকারীদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের যে চলমান প্রক্রিয়া তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য, সেটা অব্যাহত আছে।
চলমান এ প্রক্রিয়ার বিষয়ে আমি বিষদ কিছু বলতে গেলে, প্রক্রিয়াটি বিঘ্নিত হবে। সেজন্য আমি শুধু এ কথা বলবো, এ ব্যাপারে কোনো শিথিলতা নাই এবং তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি, যোগ করেন আইনমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে আমরা যেটা করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা শেষ করা, রায় কার্যকর করা এবং সাজার আদেশপ্রাপ্ত যারা পলাতক, তাদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা। তারপর যারা হত্যা করেছিলেন এবং এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করে সারাদেশের মানুষকে তাদের নামটা জানিয়ে দেওয়া।
তিনি বলেন, এ চিহ্নিত করার প্রক্রিয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এ রকম একটা কমিশন করা হয়েছে। কমিশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আপনারা দেখেছেন, ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত দেশে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। সেটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে। সেই কারণে আমরা যে রূপরেখা তৈরি করেছি, সেটা জনসম্মুখে… এবং সেটার ব্যাপারে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।
আনিসুল হক বলেন, যেই মুহূর্তে করোনা ভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হবে, সেই মুহূর্তেই আমাদের আলোচনায় আসবে, এ কমিশনের রূপ রেখাটা কি হবে, এ কমিশনের কার্যাবলি কী হবে এবং কমিশন কাদের দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত হবে। এ জিনিসগুলো করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনারা দেখতে পারবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসার পর যে আদলে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যেই ভিত্তি তিনি স্থাপন করে গেছেন, আমরা কিন্তু এখন আইনগুলো সেই আদর্শ এবং সেই ভিত্তির ওপর নির্ভর করেই করি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.