বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, রাবি: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: আজ শনিবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে সকাল ৮.০০টায় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. প্রভাষ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং অমর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতাও পালন করেন।
এরপর সংগঠনের পক্ষ থেকে গণকবর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সেখানেও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়।
এই পরিষদের পক্ষ থেকে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে “শতচিত্রে মুক্তির মহানায়ক”- শিরোনামে শিল্পী প্রনব কুমার সরকারের দিনব্যাপি একক চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রনব কুমার সরকারের রং তুলিতে আঁকা জাতির পিতার ১০১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়।
এদিন সকাল ৭.৩০ মিনিটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার প্রধান অতিথি হিসেবে এই চিত্রপ্রদর্শনীটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। রাবি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. প্রভাষ কুমার কর্মকারের সভাপতিত্বে এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম।
এরপর তাঁরা চিত্রপ্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ব্যতিক্রমী এই সুন্দর উদ্যোগের জন্য তিনি রাবি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
স্বাধীনতার পক্ষের যেকোনো সংগঠন বা পরিষদ বাংলাদেশকে চিত্রায়িত করতে চাইলে তার সাথে তিনি থাকবেন বলে জানান। এছাড়াও এই অনন্য আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস চিত্রায়িত হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
সেসময় সভাপতির বক্তব্যে ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সমস্ত বাঙালির অন্তরের কামনারই প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন। বাঙালির প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু আমাদের অহংকারের ভিন্নমাত্রা যুক্ত করলেন, সকল বিষাদময়তা থেকে মুক্ত করলেন হাজার বছরের বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে। বাঙালির জন্য সার্বভৌম বাংলাদেশের ঠিকানা নির্ধারণ, গর্বের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা এবং ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি…’ মনোমুগ্ধকর জাতীয় সংগীতের অংশীজন হওয়ার সুযোগ করে দিলেন দূরদর্শী নেতৃত্ব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ড. কর্মকার বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর শহীদদের আত্মার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এই গৌরবময় আয়োজন করতে পারায় নিজেকে ধন্য বলে মনে করেন। এক যুগের অধিককাল ব্যাপি বঙ্গবন্ধুর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হয়ে অঙ্কন করা এমন দুর্লভ এই শিল্পকর্ম উপস্থাপনের করে শিল্পী এই বিশ্ববিদ্যালয় তথা আমাদের ধন্য করেছেন এবং এতে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ের কর্ম ও জীবনালেখ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে ড. কর্মকার উল্লেখ করেন।
যারা এই প্রদর্শনী দেখতে আসবেন তাঁরা বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস জেনে এখান থেকে নিজেদেরকে আলোকিত করবেন। প্রনব কুমার সরকারের এই শিল্পকর্ম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত এবং পুরস্কৃত হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মোকাররম হোসেন মন্ডলের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টা প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র দাস, উপদেষ্টা প্রফেসর ড. তানজিমা ইয়াসমিন, সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদকগণ, সদস্যবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ প্রেরক (ড. সৈয়দা নুসরাত জাহান), দপ্তর সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.