বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানী শাষকগোষ্টীর হাত থেকে বাঙালী জাতিকে মুক্ত করতে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন :  মিলন এমপি

বাগেরহাট প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল আলম মিলন এমপি বলেন জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী শাষকগোষ্টীর হাত থেকে বাঙালী জাতিকে মুক্ত করতে এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার তাগিদে আন্দোলন সংগ্রামকে বেগবান করার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালে একদল ত্যাগী ও মেধাবী ছাত্রদের নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন।  .
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কেক কাটা, র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাগেরহাট-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ আমিরুল আলম মিলন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা উড়িয়ে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন শেষে রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুল চত্বরে বেলা ১১টায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাব্বির এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৩ নং রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক ও ৩ নং রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন, সাবেক সহ সভাপতি এম এ রসিদ আকন, ডাকসুর সাবেক নেতা আব্দুল হক গোলাম হায়দার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন খোকন,উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ খালেক খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কালাম সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ,ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
মিলন এমপি তিনি আরো বলেন  বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমাদের গর্বের ও অহংকারের সংগঠন। এই সংগঠনই জাতিরজনক শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধীতে ভূষিত করেছে। ১৯৬৯ এর গন অভ্যুথানে ছাত্রলীগের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ছাত্রলীগের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন ছিল। জন্মলগ্ন থেকে দেশের সব ধরণের সংকটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবার আগে এগিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেশ ও জাতির জন্য কাজ করার আহবান জানান বক্তারা।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের  বাগেরহাটে বর্নাঢ্য র‌্যালী, আলোচনাসভা, কেক কাটা ও মিস্টি বিতরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যাবলী বের হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ছবি সম্বলিত প্লাকার্ড, বাদ্য বাজনা ও ব্যানার নিয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী এই র্যািলীতে অংশ নেয়। শহরের প্রধান প্রধান শহর প্রদক্ষিন শেষে দলীয় কার্যালয়ে এসে মিলিত হয়। পরে সেখানে বিশালাকৃতির কেক কাটেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত সকলের মাঝে কেক ও মিস্টি বিতরণ করা হয়।
এর আগে বাগেরহাট জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে রেলরোডস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকু। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক খান হাবিবুর রহমান, সরদার ফখরুল আলম সাহেব, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ফজলে সাইদ ডাবলু, নকিব নজিবুল হক নজু, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মতিন, অম্বরিশ রায়,জেলা যুবলীগ আহবায়ক ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন . শেখ বশিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার নাহিয়ান সুলতান আল ওশান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমাদের গর্বের ও অহংকারের সংগঠন। এই সংগঠনই জাতিরজনক শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধীতে ভূষিত করেছে। ১৯৬৯ এর গন অভ্যুথানে ছাত্রলীগের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ছাত্রলীগের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন ছিল। জন্মলগ্ন থেকে দেশের সব ধরণের সংকটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবার আগে এগিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেশ ও জাতির জন্য কাজ করার আহবান জানান বক্তারা।
এসব অনুষ্ঠানে বাগেরহাট জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহন করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.