বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইতিহাস মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছিল

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশ হবে এটা কখনোই ভাবতে পারিনি। স্বাধীনতা বিরোধীরা ৭৫’ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে হত্যার পর ইতিহাস মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল।
আজ সোমবার (০৯ আগস্ট) ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের এই সদস্য আরও বলেন, যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সেদিন চারদিকে অন্ধকার নেমে আসে, থমকে দাঁড়িয়ে ছিল পুরো বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আমরা হতাশার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলাদেশে আসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে আসার পর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বাংলার মানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে আজকের বাংলাদেশকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। একের পর এক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছেন এবং বাংলাদেশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন সেটা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিমারি করোনায় অসহায় মানুষের পাশে আছেন বলেও জানান আবদুর রহমান।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাংগঠনিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে আব্দুর রহমান বলেন, করোনাকালে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানাসহ মহানগর ও বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.