বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের পাশে সড়ক জনপদের জায়গা দখলের মহোৎসব


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের পাশে চৌমুহনি, সাহার পুকুর, মুরইল, সান্তাহার ও আদমদীঘি সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন স্থান সমুহে সড়ক ও জনপদের জায়গা আবারও অবৈধ ভাবে দখল করে দোকান পাট নির্মান, ইটসোলিং কাজসহ জায়গা দখলের মহোৎসব চলছে।
একটি মহল জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মান ও ইটসোলিং কাজ করায় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কাজসহ সড়ক ও জনপদের আইন লংঘিত হচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।
সরকারি নির্দেশনা মতে মহাসড়কের দুই পাশের জয়গায় অবৈধ ভাবে কোন দোকানপাট, স্থাপনা ও হাটবাজার বসানো যাবেনা। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে বগুড়া-নওগাঁ মহা সড়কের পাশে বগুড়া থেকে সান্তাহার পর্যন্ত বগুড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগ কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেন।
সম্প্রতি এই জনগুরুত্বপুর্ন সড়টি সম্প্রসারণ কাজ শুরু করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের পর পর একটি মহল আবারও দুপচাঁচিয়ার চৌমুহনি বাসস্ট্যান্ড, সাহার পুকুর বাসস্ট্যান্ড, মুরইল বাসস্ট্যান্ড, সান্তাহার ও আদমদীঘি সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন স্থান সমুহে সড়ক ও জনপদের জায়গা ক্যেশলে ফের অবৈধ ভাবে দখল করে দোকান পাট নির্মান ও ইটসোলিং কাজ করে দখলের মহোৎসব চালাচ্ছে।
আদমদীঘি সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি যাত্রী ছাউনি নির্মান করা হলেও সম্প্রতি তা ভেঙ্গে ফেলায় বাসের জন্য অপেক্ষামান যাত্রীরা এখন আর বিশ্রাম ও তাদের নির্ধারিত বাসের জন্য অপেক্ষা করার জায়গা পান না। যাত্রীদের এ দুর্ভোগের প্রতি কারো নজর না থাকলেও সড়ক ও জনপদের জায়গায় চলছে দোকানপাট নির্মান ও হাটবাজার উন্নয়নের নামে অবৈধ দখলের মহোৎসব। এই সব জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করায় মহাসড়ক সম্প্রসারণ কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, হাট সম্প্রসারনের জন্য সড়ক ও জনপদের জায়গায় ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ইটসোলিং কাজ করা হচ্ছে। তবে সড়ক ও জনপদের নিকট থেকে কোন অনুমতি নেয়া হয়নি। হাট ও ইউনিয়ন পরিষদের অর্থে সড়ক ও জনপদের জায়গায় মাটি ভরাট ও ইটসোলিং কাজ করার কোন সরকারি বিধান রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান জানান, যেহেতু হাটের নিজস্ব জায়গা কম তাই মহা সড়কে হাট বসানোর ব্যবস্থা নেয় হয়েছে।
বগুড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সড়ক ও জনপদ বিভাগের যে কোন সড়কের পাশে কোন অবৈধ স্থাপনা নির্মান করা আইনগত বৈধ নয়। অল্পদিনের মধ্যেই আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.