বগুড়ার শেরপুরে ঐতিহাসিক মা ভবানীর মন্দিরে পূণ্যার্থীদের মিলন মেলা

বগুড়া প্রতিনিধিউপমহাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ৫১টি পীঠস্থানের অন্যতম বগুড়ার শেরপুরের মা ভবানীর মন্দিরে আজ মঙ্গলবার মাঘী পূর্ণিমা উৎসব পালিত হয়েছে। অতীত জীবনের পাপ মোচনসহ পুণ্যলাভের আশায় মন্দির প্রাঙ্গণটি মুখরিত ছিল দেশ-বিদেশ থেকে আগত পূণ্যার্থীদের আগমনে। দিনটিকে ঘিরে সকাল থেকেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার নারী-পুরুষ মন্দির প্রাঙ্গণে সমবেত হন এবং শাঁখারী পুকুরে পুণ্যস্নান শেষে পূজা অর্চনা করেন। আগত ভক্তরা ঐতিহাসিক এই মন্দিরে রক্ষিত প্রতিমা দর্শন, পূজাঅর্চনা ও অর্ঘ্য-দান করেন।। মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার রাত থেকেই মা ভবানীর মন্দিরে মাঘী পূর্ণিমার উৎসবে যোগ দিতে পূণ্যার্থীরা আসতে থাকেন। এজন্য অসংখ্য দর্শনার্থী মন্দির এলাকা ও আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িতে রাত্রি যাপন করেন।

ঐতিহাসিক ভবানীপুর মন্দির পরিচালনা ও সংস্কার কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নিমাই ঘোষ বিটিসি নিউজকে জানান, যুগ যুগ ধরে মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে ধর্মীয় উৎসব পালন হয়ে আসছে। প্রতি বছর এখানে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটেছে। এখানে দূর-দূরান্তের পূণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে আসা বেলারাণী, কল্পনা রাণী, শ্রী পুতুল মহন্ত, আশিষ কুমার বিটিসি নিউজকে বলেন, মায়ের দর্শন নিতে এখানে এসেছি। মনের আশা বাসনা পূরণের জন্য স্নান শেষে মায়ের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছি। মাদারিপুর থেকে আসা জুঁথি সূত্রধর বলেন, এখানে আসলে দেহ মন পবিত্র হয়। তাই মায়ের মন্দিরে এসেছি। মনে বাসনা পূরণ হবে-এমন আশা নিয়ে মায়ের মন্দিরে এসেছি বলে জানান নরসিংদীর দুর্গা রাণী সাহা।

এ উপলক্ষে প্রতিবছর মা ভবানী মন্দিরের চারপাশে মেলা বসে। শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান পালনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলগঠন করা হয়েছে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.