বকেয়া আয়কর আদায়ে ‘রাজস্ব হালখাতা’

ছবি: সৈয়দ নাবিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বকেয়া আয়কর আদায়ে ‘রাজস্ব হালখাতা’ রাজশাহীতে আয়োজন করা হয়েছে । রাজশাহীর কর ভবন চত্বরে রোববার দিনব্যাপী এ আয়োজন করে কর কমিশনারের কার্যালয়। সকালে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে হালখাতার উদ্বোধন করেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। পরে তিনি নিজেও এক লাখ ৬৮ হাজার ৯৪২ টাকা আয়কর দেন।
এর আগে উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বাদশা বলেন, আমাদের দেশের ধনী মানুষরা রাষ্ট্রব্যবস্থা, করব্যবস্থাকে অবজ্ঞা করে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা কর বিভাগের থাকলে বৈষম্য দূর হতো। তাই প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ক্ষমতা কর বিভাগকে দিতে হবে। কর না দিলে জেলখানায় থাকতে হবে, এর বাইরে কোনো নিয়ম থাকা চলবে না। কর আদায় করতে হবে, এতে কোনো নমনীয়তা থাকতে পারে না।
বাদশা আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে আঞ্চলিক বৈষম্য করা যাবে না, এটা সংবিধানের কথা। কিন্তু এ কথার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ঢাকাকেন্দ্রীক শিল্পায়নকে ঢাকার বাইরে নিয়ে আসতে হবে। ঢাকায় যারা গার্মেন্ট শিল্প করেন, তারা পাঁচ শতাংশ প্রণোদনা পান। ঢাকার বাইরে যারা শিল্প করবেন তাদের আট শতাংশ প্রণোদনা দেয়া দরকার। এতে দেশের ভেতরের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর হবে।
রাজশাহী কর অঞ্চলের কর কমিশনার ড. খন্দকার মো. ফেরদৌস আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত কর কমিশনার মীর্জা আশিক রানা। এসময় উপস্থিত ছিলেন-রাজশাহী কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মহসিন খান, রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি প্রমুখ।
হালখাতা শুরুর পর থেকেই কর পরিশোধ করছেন রাজশাহী কর অঞ্চলের রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনার আয়কর দাতারা। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের বকেয়া এক কোটি ২৫ লাখ টাকার আয়কর দেন।
হালখাতায় রসগোল্লা, কালোজাম, সন্দেশ, বাতাসা, মুন্ডা, জিলাপি, লুচি, পুরি, বুন্দিয়া, মুড়ি, মুড়কি, চিড়াসহ বাঙালীয়ানা খাবারে আপ্যায়ন করা হচ্ছে করদাতাদের। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.