বকশীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর, দুই ভাইস চেয়ারম্যানের নামে মামলা, আটক-১

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের অভিযোগে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সহ অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার বকশীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী আতিক সিদ্দিকীকে আটক করা হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল রোববার দুপুর আড়াই টার দিকে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদারের কার্যালয়ে ভাংচুর করা হয়। চেয়ার, টেবিল সহ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও এসময় ভাংচুর করা হয়।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদার ও বকশীগঞ্জ পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাত করার জন্য তার কার্যালয়ে গেলে চেয়ারম্যানকে না পেয়ে তিনি ফিরে আসার সময় ভাইস চেয়ারম্যান জুমান তালুকদার তার লোকজন নিয়ে নিজ কার্যালয়ে হট্টগোল শুরু করেন।

পরে জুমান তালুকদার পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের জন্য দায়ী করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতেই উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা ইয়াসমীন স্মৃতির স্বামী আতিক সিদ্দিকীকে পৌর শহরের মিয়াপাড়া এলাকা থেকে আটক করে থানা পুলিশ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে অন্যকে ফাঁসানোর চেষ্টা করায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জুমান তালুকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা ইয়াসমীন স্মৃতি, তার স্বামী আতিক সিদ্দিকী সহ ৬ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং আটককৃত আতিক সিদ্দিকীকে সোমবার দুপুরে জামালপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.