বকশীগঞ্জে প্রতিবন্ধীকে নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় হাতের আঙ্গুল কেটে দিয়েছে প্রভাবশালীরা! গ্রেপ্তার-১


বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে বিদ্রুপ করে নির্যাতন করার ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় নিরীহ ব্যক্তির হাতের আঙ্গুল কেটে দিয়েছে প্রভাবশালীরা।

এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে অভিযুক্তদের একজন নুর ইসলাম (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার সকাল ১০ টার দিকে বগারচর ইউনিয়নের ধারারচর নয়াপাড়া গ্রামে।

ভুক্তভোগী আঃ ছামাদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গত শনিবার দুপুরে তার নিকট আত্মীয় বিপ্লব মিয়া (১৭) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে বিদ্রুপ করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন ধারারচর নয়াপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে জিয়া মিয়া (৩৫)।

প্রতিবন্ধীকে নির্যাতনের ঘটনায় একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আঃ ছামাদ ও তার চাচা সরু মিয়া এর প্রতিবাদ জানালে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় প্রভাবশালী নুর ইসলাম, জিয়া মিয়া, অমিল হক, আলী হোসেন, রুহুল আমিন ও তাদের লোকজন আঃ ছামাদের চাচা সরু মিয়া অভিযুক্তদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তারা সরু মিয়ার পথ রোধ করে হামলা চালায়। এ সময় সরু মিয়ার ডাকচিৎকারে আঃ ছামাদ এগিয়ে আসলে রাম দা দিয়ে আঃ ছামাদের দুটি আঙ্গুল কেটে দেয়। একই সময় তারা সরু মিয়ারও দুটি আঙ্গুল কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে প্রভাবশালীরা।

এ নিয়ে হুড়োহুড়ি শুরু হলে স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় ওই প্রভাবশালীরা। ওই হামলায় ছাদেক আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম, তোতা মিয়ার ছেলে আক্কাছ আলী আহত হয়। এদের মধ্যে আঃ ছামাদ (৩৫) ও সরু মিয়া (৪৫) বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আঙ্গুল কেটে দেওয়ার ঘটনার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ওই গ্রামের অভিযুক্ত মৃত জমশের আলীর ছেলে নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রতিবন্ধীকে নির্যাতন ও আঙ্গুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী আঃ ছামাদ বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ।

বকশীগঞ্জ থানার উপ-পদির্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গ্রেপ্তারের পর আজ সোমবার দুপুরে আসামী নুর ইসলামকে জামালপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.