বকশীগঞ্জে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তিন ভাই বোনের মানবেতর জীবনযাপন


বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে একই পরিবারের ৩ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভাই-বোন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনাহারে অর্ধাহারে দিনানিপাত করছেন তারা। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন পরিবারটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মাদারেরচর গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর সামছুল শেখের মেঝ ছেলে আবদুল হামিদ বানু (৩৫) , ছোট ছেলে আবদুল মতিন (২৮) ও কন্যা পেয়ারা বেগম (৩০) জন্মের ৫ বছরের মধ্যে চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলেন। ছোট বেলা থেকেই এই তিন ভাই বোন দৃষ্টিহীন হয়ে অন্যের সাহায্য নিয়ে চলতে থাকেন।
সংসারে তিন জন প্রতিবন্ধী নিয়ে বাবা সামছুল শেখ বেকায়দায় পড়ে যান। দিনমজুরের কাজ করে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে কোন রকমে সংসার চালান তিনি। এরই মধ্যে তিন সন্তানের চোখের চিকিৎসা করাতে হাতে টাকা পয়সা যা ছিল তা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু দৃষ্টি শক্তি ফিরে পায় নি তার সন্তানেরা।
এরই মধ্যে সামছুল শেখ মারা গেলে পরিবারে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। পরিবারের প্রধানের মৃত্যুতে অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করতে থাকেন। একই পরিবারের তিন ভাই বোন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও এখন পর্যন্ত ছোট ভাই আবদুল মতিন ছাড়াও বাকি দুজনের প্রতিবন্ধী ভাতা কপালে জুটেনি।
আবদুল মতিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় মতিনকে ছেড়ে দিয়েছেন তর স্ত্রী। এছাড়াও মতিনের বড় বোন পেয়ারা বেগমকে বিয়ে দেওয়া হলেও প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তার স্বামীও তাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করেছেন।
এদিকে পরিবারের তিন জন সদস্য প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাদের নিয়ে বৃদ্ধ মা হালিমন বেওয়া (৬০) পড়েছেন মহা বিপদে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই বৃদ্ধ মা-ই তাদের একমাত্র ভরসা। সংসারে আয় রোজকার না থাকায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন এই পরিবারটি। এমতাবস্থায় তাদের দিনানিপাত করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
অবিলম্বে তাদের প্রতিবন্ধী ভাতায় অন্তুর্ভুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মা হালিমন বেগম।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা বিটিসি নিউজকে জানান, তিন ভাই বোনের খোঁজ নিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা সহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.