বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক:ম্যাচের শেষ দিকে ফ্রি-কিক থেকে করেছেন চোখধাঁধানো এক গোল। সেই গোলই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। এতে দীর্ঘ এক অপেক্ষাও ফুরিয়েছে আনহেল ডি মারিয়ার। রসারিও সেন্ত্রালের জার্সিতে লিওনেল মেসির শৈশবের ক্লাব নিওয়েল’স ওল্ড বয়েজের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত ৩৭ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকা।
আর্জেন্টাইন প্রিমেরা ডিভিশন ফুটবলে রসারিও ডার্বিতে নির্ধারিত সময়ের আট মিনিট বাকি থাকতে গোলটি করেন ডি মারিয়া। বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে শেষ হওয়া ম্যাচটিতে ১-০ গোলের জয় পায় তার শৈশবের ক্লাব রসারিও সেন্ত্রাল।
২০ মিটার দূর থেকে বাঁ পায়ে জোরাল বাঁকানো ফ্রি-কিক নেন ডি মারিয়া। বল ঘণ্টায় ৮১ কিলোমিটার বেগে উড়ে গিয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ওপরের কোণা দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে।
বল জালে জড়াতেই জার্সি খুলে খ্যাপাটে দৌড় শুরু করেন দি মারিয়া। যেন থামাথামির নাম নেই! তার পেছনে ছুটছেন তখন সতীর্থরা।
ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো রসারিও ডার্বিতে জয়ের উচ্ছ্বাস ম্যাচ শেষে ফুটে উঠল বিশ্বকাপ জয়ী তারকার কণ্ঠেও।
“আমি সারা জীবন এই স্বপ্ন দেখেছি। শুধু চেয়েছি ফিরে এসে এই স্বপ্নটা পূরণ করতে। এখন আমার আরেকটি লক্ষ্য আছে: সেন্ত্রালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমার স্ত্রী বলেছিল, সুযোগ পেলে আমি পারব। ভাগ্য এমনই। শেষ পর্যন্ত সেখানে ফিরে এসেছি, যেখানে আমি সত্যিই সুখী।”
“স্বপ্ন পূরণ করতে না পারার কষ্ট আমি অনেক দিন বয়ে বেড়িয়েছি। আমি জানি, সেই সময় অনেকেই আমার ওপর বিরক্ত হয়েছে, কিন্তু কেউ জানে না আমি কতটা কষ্ট সহ্য করেছি। এই জয় আমার স্ত্রী আর মেয়েদের জন্য।”
চার বছর বয়সে রসারিও সেন্ত্রালে পা রেখে একাডেমি ও যুব দল হয়ে ১৭ বছর বয়সে এই ক্লাবের হয়েই পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় দি মারিয়ার। দুই বছর এখানে থেকে ২০০৭ সালে পাড়ি জমান পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকায়। পরের অধ্যায় তো সবার জানাই। রেয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, ইউভেন্তুস- ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলো মাতিয়েছেন তিনি শীর্ষ দলগুলো হয়ে।
এর মধ্যেই আর্জেন্টিনার হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ, দুটি কোপা আমেরিকা ও ফিনালিস্সিমা। সব আসরেই দলের সাফল্যে তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রদের একজন। ২০২৩ সালে বেনফিকায় ফেরা এই তারকা গত মে মাসে আবার ফেরেন ক্যারিয়ারের শুরুর ঠিকানায়।
গত বছর তার রসারিওতে ফেরার সম্ভাবনা থাকলেও তখন শহরে মাদক-সংক্রান্ত সংঘর্ষ ও অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের প্রতি হুমকির কথা ভেবে ভাবনা বাদ দিয়েছিলেন তিনি।
রসারিও সেন্ত্রালের হয়ে এর আগে নিওয়েল’স ওল্ড বয়েজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলে জয়হীন ছিলেন ডি মারিয়া। ২০০৬ সালে একটি ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল, ২০০৭ সালে হেরেছিলেন ১-০ গোলে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.