বিটিসিআন্তর্জাতিকডেস্ক: ফ্রান্সের নরম্যান্ডি উপকূলে অনুষ্ঠিত হলো ডি-ডে। রাশিয়ার সামরিক অভিযানে বিধ্বস্ত ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোয় এবারের উদযাপনের তাৎপর্য অনেক বেশি।
ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের প্রবীণ সেনারা সমবেত হন এবারের আয়োজনে।
সোমবার (৬ জুন) স্থানীয় সময় সকালে অনেকেই জড়ো হন ফ্রান্সের নরম্যান্ডি উপকূলের ওমাহা বিচে, ডি-ডের ৭৮ তম বর্ষপূর্তির প্রথম সূর্যোদয় দেখতে। কেউ কেউ আবার হেঁটে বেড়ান সমুদ্রের তীরে। অনেকেই আবার স্মৃতি রোমন্থন করেন। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ডি-ডে উদযাপন বন্ধ থাকায় এবারের আনন্দের মাত্রাটা যেন বেশি। খবর এপির।
চলতি বছর ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সেনার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রবীণ সেনাসহ স্থানীয় এবং বিদেশি দর্শকরা ডি-ডের আগের দিন রানভিলের পেগাসাস ব্রিজের কাছে একত্রিত হন।
একজন বলেন, প্রথমত আমাদের মনে রাখতে হবে যে শত্রুরা আর ফিরে আসেনি। আমরা অনেক বেশি ভাগ্যবান। প্রায় ৮০ বছর আগে এ ঘটনাটি ঘটেছিলো এবং আমরা এখনো বেঁচে আছি। আমার বয়স ৯৭ বছর। সে দিন আমরা তাদেরকে প্রতিহত করতে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু সে ঘটনা সব সময়ই আমাদের মনে থেকে যাবে।
উপস্থিত সবাই চলামন রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
১৯৪৪ সালের ৬ জুন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, মিত্র বাহিনীর দেড় লাখ সেনা, কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে জার্মানির নরম্যান্ডির সমুদ্রসৈকতে অবতরণ করেছিলেন। হাজার হাজার যুদ্ধ জাহাজের পাশাপাশি, এতে অংশ নিয়েছিল সামরিক যান এবং ল্যান্ডিং ক্রাফট। নাৎসি বাহিনীকে কুপোকাত করতে ওই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশেন নেপচুন। এটাই ডি-ডে নামে পরিচিতি পায়। এর মাধ্যমেই নাৎসি বাহিনীর পরাজয়ের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিলো বলে মনে করেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.