বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক ধরনের চর্মরোগের কারণে গবাদিপশু নিধনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে হাজার হাজার কৃষক সড়ক অবরোধ করেছেন।
শনিবার তারা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা খড়ের গাঁদায় আগুন ধরিয়ে দেন।
এদিকে ফরাসি সরকার জানিয়েছে, ১০ লাখ গবাদিপশুকে টিকা দেওয়া হবে। ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ নামে পরিচিত নডুলার ডার্মাটাইটিস রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকারের কঠোর পদক্ষেপে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার স্পেন সীমান্তসংলগ্ন লে বোর্দ-সুর-আরিজ গ্রামে একটি মাত্র গরুতে এই রোগ শনাক্ত হওয়ার পর ২০০টির বেশি গরুর পালকে জবাই করেন পশুচিকিৎসকরা।
নিধন কার্যক্রম চালাতে গেলে ক্ষুব্ধ কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। একাধিক কৃষক ইউনিয়ন বলেছে, পুরো একটি পাল’কে জবাই করা কার্যকর কোনও সমাধান নয়। এই সিদ্ধান্তকে উন্মাদনা আখ্যা দিয়ে তা বন্ধ করতে ফ্রান্সজুড়ে অবরোধের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শনিবার ডজন ডজন ট্রাক্টর সড়ক অবরোধ করে। অন্যগুলো সরকারি ভবনের সামনে পার্ক করা হয়। এ সময় কৃষকরা খড়ের গাঁদা ও টায়ারে আগুন ধরান। শুক্রবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া অবরোধের কারণে বায়োন থেকে তার্বস পর্যন্ত প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ-৬৪ মহাসড়ক যান চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশজুড়ে ৪৩টি বিক্ষোভ বা সংঘর্ষের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এতে প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারী অংশ নেন। এর মধ্যে কয়েকটি বিক্ষোভে সংঘর্ষও ঘটে। মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়ায় না। তবে গবাদিপশুর জন্য এটি মারাত্মক হতে পারে। ফ্রান্সে প্রথমবারের মতো এই রোগের উপস্থিতি ধরা পড়ে এ বছরের জুন মাসে।
কর্তৃপক্ষ যে রোগটিকে অত্যন্ত সংক্রামক বলে বর্ণনা করছে, তা নির্মূল করতে সরকারের কৌশল হলো- আক্রান্ত পশুর পালগুলোর সব পশু নিধন এবং আক্রান্ত এলাকার ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের সব গবাদিপশুকে জরুরি ভিত্তিতে টিকা দেওয়া।
কঠোরপন্থী কৃষক সংগঠন কো-অর্ডিনাসিওঁ রুরাল-এর নেতা লিওঁ থিয়েরি বলেন, এটা গরু ও কৃষকদের নিধন। পাইরেনিস অঞ্চলে এমন কোনও পশু জবাই করা মেনে নেওয়া যায় না, যেগুলো অসুস্থ নয়। সম্পূর্ণ সুস্থ- শুধু এই কারণে যে তাদের পালের ভেতর নাকি একটি অসুস্থ পশু পাওয়া গেছে। এমন কথা বলে গরু হত্যা করা হচ্ছে। তিনি ব্রিসকুস শহরে ডজনখানেক কৃষক ও প্রায় ৪০টি ট্রাক্টর নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন।
এদিকে তুলুজ শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে কার্বোন এলাকায় প্রায় ১০০ জন কৃষক জড়ো হয়ে এ-৬৪ মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। #















