ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জেতা স্টেডিয়াম কিনবে পিএসজি!

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ১৯৯৮ সালে ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। প্যারিসের স্তাদ দি ফ্রান্স স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন দিদিয়ের দেশম, জিনেদিন জিদান, থিয়েরি অঁরিরা। স্তাদ দি ফ্রান্স তাই ফরাসিদের জন্য অন্য রকম এক গর্বের জায়গা।
এবার ফরাসিদের সেই গৌরবের স্থাপনা স্তাদ দি ফ্রান্স স্টেডিয়াম নিজেদের করে নিতে চাইছে পিএসজি। ফ্রান্স সরকারের মালিকানাধীন স্টেডিয়ামটি কেনার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছে মেসি-এমবাপ্পে-নেইমারদের ক্লাব।
বস্তা বস্তা টাকা ঢেলে একের পর এক তারকা ফুটবলার কিনে দলে তারার মেলা বসিয়েছে পিএসজি। কিন্তু টাকা দিয়ে লিওনেল মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পেদের মতো তারকা কিনলেও পিএসজির নিজস্ব একটা স্টেডিয়াম নেই!
১৯৭৩ সাল থেকে যে স্টেডিয়ামটিকে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে পিএসজি, সেই পার্ক দি প্রিন্সেস স্টেডিয়ামটি কাউন্সিল অব প্যারিসের মালিকানাধীন। পিএসজি স্টেডিয়ামটি ভাড়া হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এত বড় ক্লাব, এত নামীদামী খেলোয়াড় কিনে বিশ্বে অন্য রকম হইচই ফেলা, অথচ তাদের নিজস্ব একটা স্টেডিয়াম থাকবে না! নিজেদের স্থায়ী একটা ঠিকানা করার জন্যই স্তাদ দি ফ্রান্স কিনতে চাইছে পিএসজি।
শুধু ১৯৯৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল নয়, ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই স্তাদ দি ফ্রান্স স্টেডিয়ামে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের ইউরো জয়ের স্বাক্ষী এই স্তাদ দি ফ্রান্স স্টেডিয়াম। এছাড়া একটি রাগবি বিশ্বকাপ এবং বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের আসরও বসেছিল ফ্রান্সের এই জাতীয় স্টেডিয়ামে।
সম্প্রতি স্টেডিয়ামটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স সরকার। পিএসজিও সঙ্গে সঙ্গেই  স্টেডিয়ামটি কেনার জন্য আবেদন করেছে। তবে দরপত্রে কত টাকা প্রস্তাব করেছে সেটা জানা যায়নি। ফরাসি গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ফ্রান্স সরকার ২০২১ সালে স্টেডিয়ামটির প্রাক্কলন মূল্য নিরূপণ করেছিল ৭১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৫৫৭ কোটি ৭০ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টাকা!
দাম যতই হোক, পিএসজি কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্টেডিয়ামটিতে কিনতে পারবে না। বরং তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখেই পড়তে হবে পিএসজিকে। কারণ ফ্রান্স ভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা এএফপির খবর, স্টেডিয়ামটি কেনার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা এবং ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফাও। বিশ্ব ফুটবলের এই দুই প্রভাবশালী সংস্থার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেরে উঠবে পিএসজি? #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.