বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক:উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে ম্যানচেস্টার সিটির কঠিন পরীক্ষা নিল বোর্নমাউথ। শেষ পর্যন্ত যদিও তারা পারল না চ্যাম্পিয়নদের জয়রথ আটকাতে। ফিল ফোডেনের একমাত্র গোলে জয় নিয়ে ফিরল পেপ সিটি।
আসরের সর্বোচ্চ স্কোরার আর্লিং হলান্ড নবম মিনিটেই দলকে এগিয়ে নিতে পারতেন। সামনে একমাত্র বাধা ছিলেন গোলরক্ষক, কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শট লক্ষ্যের ধারেকাছেও রাখতে পারেননি তিনি।
পরের মিনিটেই সিটির গোলরক্ষককে পরীক্ষা নেয় বোর্নমাউথ। মিলোজ কেরকেজের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে কোনোমতে এক হাত দিয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠান এদেরসন।
গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি চ্যাম্পিয়নদের। ২৪তম মিনিটে হলান্ডের কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি গোলরক্ষক, আলগা বল পেয়ে অনায়াসে জালে জড়ান ফোডেন।
এবারের লিগে এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের গোল হলো ৯টি, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমে ১৬টি।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায় বোর্নমাউথ। তবে দারুণ পজিশন থেকেও এদেরসনের নাগালের বাইরে শট নিতে পারেননি জাস্টিন ক্লুইভার্ট। পরের মিনিটে হলান্ডের শট স্বাগতিকদের রক্ষণে প্রতিহত হয়।
৬৬তম মিনিটে গোল প্রায় খেয়েই বসেছিল সিটি। ইংলিশ ফরোয়ার্ড ডমিনিক সোলাঙ্কির হেড একেবারে গোললাইন থেকে ফেরান এদেরসন। পরের মিনিটে আবারও ভীতি ছড়ান সোলাঙ্কি, এবার তার শট প্রতিহত করেন রুবেন দিয়াস।
নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে একটুর জন্য গোল পায়নি বোর্নমাউথ। এনেস উনাইয়ের লাফিয়ে নেওয়া হেড পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ে সিটি।
২৬ ম্যাচে ১৮ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সিটি। এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুল ৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে।
২৫ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আর্সেনাল। ২৬ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে অ্যাস্টন ভিলা। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.