ফেরার ম‍্যাচে মেসির জোড়া গোল

 

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: চোট কাটিয়ে চেনা চেহারাতেই মাঠে ফিরলেন লিওনেল মেসি। আলো ঝলমলে পারফরম‍্যান্সে পথ দেখালেন দলকে। জোড়া গোল করার পাশাপাশি অবদান রাখলেন লুইস সুয়ারেসের গোলে। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামাল দিয়ে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে হারাল ইন্টার মায়ামি।
মেজর লিগ সকারের ম‍্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে জেরার্দো মার্তিনোর দল।
বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে হওয়া ম‍্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যায় ফিলাডেলফিয়া। পরে পাঁচ মিনিটের ব‍্যবধানে দুই গোল করেন মেসি। ম‍্যাচের যোগ করা সময়ে সুয়ারেসের গোলে অবদান রাখেন তিনি। ১৪ গোলের পাশাপাশি আর্জেন্টাইন মহাতারকা অ‍্যাসিস্টও হলো ১৪টি।
এই জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও সংহত করেছে মায়ামি। ২৮ ম‍্যাচে ১৯ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে দলটির পয়েন্ট ৬২। দুই কনফারেন্স মিলিয়ে আর কোনো দল ৫২ পয়েন্টের বেশি পায়নি।
মায়ামির টানা পঞ্চম ও সবশেষ ১০ ম‍্যাচে নবম জয়ে বড় অবদান আছে গোলরক্ষক ড্রেক ক‍্যালেন্ডারের। ফিলাডেলফিয়ার বিপক্ষে সাতটি সেভ করেন তিনি।
গত ১৪ জুলাই কোপা আমেরিকার ফাইনালে খেলার সময় অ‍্যাঙ্কেলে চোট পান আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। ২ মাসের বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকা মহাতারকা ছিলেন না মায়ামির সবশেষ ৯ ম‍্যাচে। তাকে ছাড়াই সাপোর্টার্স শিল্ড জয়ের লড়াইয়ে এগিয়ে আছে দল।
মেসি ও ক‍্যালেন্ডারের নৈপুণ‍্যে পেরে না উঠলেও মাঠে দাপুটে ফুটবলই খেলে ফিলাডেলফিয়া। গোলের জন‍্য ২০টি শট নেয় তারা, লক্ষ‍্যে রাখতে পারে আটটি। এর বিপরীতে মায়ামির নয় শটের চারটি ছিল লক্ষ‍্যে।
দি্বতীয় মিনিটে ফিলাডেলফিয়াকে এগিয়ে নেন মিকেল ওয়া। জবাব দিতে বেশি সময় নেয়নি মায়ামি। ২৬তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে সুয়ারেসের পাস পেয়ে চ‍্যালেঞ্জ জানাতে আসা খেলোয়াড়কে এড়িয়ে এগিয়ে যান মেসি। ডি বক্সের ভেতরে ঢুকে বা পায়ের আড়াআড়ি শটে খুঁজে নেন জাল।
চার মিনিট পর জর্দি আলবাকে বল বাড়িয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন মেসি। দীর্ঘ দিনের সতীর্থের ক্রস পেয়ে পেনাল্টির স্পটের কাছ থেকে চমৎকার ফিনিশিংয়ে এগিয়ে নেন দলকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিলডেলফিয়ার প্রবল চাপ সামাল দেওয়া মায়ামি ব‍্যবধান বাড়ায় যোগ করা সময়ে। মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁকানো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন সুয়ারেস।
আসরে এটি তার ১৭তম গোল। কদিন আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকারের চেয়ে দুই গোল বেশি করে চূড়ায় আছেন ডিসি ইউনাইটেডের ক্রিস্টিয়ান বেনটেকে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.