ফেনী প্রতিনিধি: সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয়ে বিয়ে করতে গিয়ে এক ভুয়া সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ভুয়া সেনা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন পিন্টু (৩৮), পরশুরাম পৌরসভার উত্তর গুথুমা গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেনীর লেমুয়া ইউনিয়নের তেরোবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ফেনী মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায় পিন্টু নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের তেরোবাড়িয়া এলাকায় নাছরিন আক্তার রিতু নামের এক নারীকে গত তিন মাস যাবত বিয়ের জন্য প্রলুব্ধ করে আসছিল। রিতুর পরিবারের কাছে রিতুকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রিতুর পরিবারের সন্দেহ হলে ফেনীর বোগদাদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সিরাজুল ইসলামকে অবহিত করলে তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়। পিন্টু দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে নানা জায়গায় নানান প্রতারণা করে আসছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টু স্বীকার করে যে, সে সেনা বাহিনীর সদস্য নয়; প্রতারণার উদ্দেশ্যে সেনা কর্মকর্তার পরিচয় দিত। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশের নেতৃত্বে ছাগলনাইয়া থানার মধুপুর এলাকায় তার ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে তার দেখানো মতে অনেক আলামত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে-৩ সেট সেনা বাহিনীর ইউনিফর্ম,২টি সেনা জ্যাকেট, বাংলাদেশ আর্মি লেখা টাউজার,হেলমেট, বুট, জ্যাকেট, ব্যারেট ক্যাপ ও ফিল্ড ক্যাপ,সেনাবাহিনীর ওয়াটার পোর্ট, বেল্ট, ব্যাজ, মেডেল,মেজর পরিচয়ে ভুয়া সিল ও স্ট্যাম্প প্যাড,সেনা প্রশিক্ষণ কার্ড লেখা ডায়েরি,একটি মোবাইল সেট (TECNO SPARK 6GO) সিমকার্ডসহ।
পুলিশ আরো জানায়, আসামি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনা কর্মকর্তার পোশাক পরে ছবি প্রকাশ করে বিভিন্ন নারীদের প্রলুব্ধ করত এবং অর্থ হাতিয়ে নিত।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানান, ভুয়া সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.