‘ফুটবল কখনও কখনও নিষ্ঠুর’, টাইব্রেকারে হেরে বললেন সুইস ফরোয়ার্ড

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: মিনিট দশেক জাল অক্ষত রেখে কাটিয়ে দিতে পারলেই হয়ে যেত ইতিহাস। কিন্তু পারেনি সুইজারল্যান্ড। প্রথমবারের মতো কোনো বড় টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনালে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা জাগিয়েও তাদের স্বপ্ন ভেঙেছে টাইব্রেকারে হেরে। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে এভাবে বিদায় নেওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না সুইস খেলোয়াড়রা।
ডুসেলডর্ফে শনিবার তৃতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারে সুইজারল্যান্ড।
নিষ্প্রাণ প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের দারুণ পারফরম্যান্সে ৭৫তম মিনিটে ব্রিল এমবোলোর গোলে এগিয়ে যায় তারা। তবে ৮০তম মিনিটে সমতা টানেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড বুকায়ো সাকা।
পেনাল্টি শুটআউটে প্রথম শটেই ব্যর্থ হয় সুইসরা। মানুয়েল আকনজির দুর্বল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। সেটিই গড়ে দেয় ব্যবধান।
শেষ ষোলোয় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয় সুইজারল্যান্ড। এবার গতবারের রানার্সআপদের বিপক্ষে জয়ের আশা জাগিয়েও পারল না তারা।
টানা দুটি ইউরোর কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হলো তাদের। বড় টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ, ইউরো) সব মিলিয়ে পাঁচবার এই পর্বে থামল তাদের পথচলা।
টাইব্রেকারে হারটাই বেশি পোড়াচ্ছে অভিজ্ঞ সুইস উইঙ্গার জেরদান সাচিরিকে। দল নিয়ে অবশ্য গর্বিত তিনি।
“পেনাল্টি শুটআউটের পর বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক আর কিছু নেই। আমরা লড়াই করেছি, রূপকথার গল্প অব্যাহত রাখতে আমরা সবাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। দল যেভাবে ইউরোতে খেলেছে, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। আমরা সুইজারল্যান্ডের অনেক মানুষকে গর্বিত করেছি এবং তাদের আনন্দ দিয়েছি।”
তরুণ সুইস ফরোয়ার্ড ড্যান এনডোয়ের মতে, সেমি-ফাইনালে যাওয়াটা প্রাপ্য ছিল তাদের।
“এই হার মেনে নেওয়া কঠিন। আমি মনে করি, এতটা ঐক্যবদ্ধ দল নিয়ে আমরা সেমি-ফাইনালে যাওয়ার যোগ্য ছিলাম। আমাদের আরও দূরে যাওয়ার সামর্থ্য ছিল। অবশ্যই পেনাল্টিতে হারলে কষ্ট লাগে। ফুটবল কখনও কখনও নিষ্ঠুর, তবে এটি এমনই এবং মেনে নিতে হবে।” #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.