ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা ইরানে আলোচনায় বসেছেন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ ও হামাসের নেতারা সোমবার তেহরানে শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কারণ ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে মারাত্মক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল-নাখালাহকে স্বাগত জানান এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের আগে সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএনসিএস) নবনিযুক্ত সচিব আলী আকবর আহমদিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এসএনএসসি সংশ্লিষ্ট নুরনিউজ ওয়েবসাইট অনুসারে, আহমেদিয়ান হানিয়াহকে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনে ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দখলদারির অবসান ঘটানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো প্রতিরোধ।
নাখালাহ গত সপ্তাহ থেকে ইরানে রয়েছেন এবং সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি, রাইসিসহ শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
সোমবার নাখালাহকে রাইসি বলেছেন, ইসরাইল আরো আরব ও মুসলিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে। কারণ তারা ‘তরুণ ফিলিস্তিনিদের দখলকৃত অঞ্চল মুক্ত করা থেকে নিরুৎসাহিত’ করতে চায়। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি ‘প্রতিরোধকে’ স্বাগত জানিয়েছেন।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আব্রাহাম অ্যাকর্ডের অধীনে ইসরায়েল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো ও বাহরাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের আচরণের কারণে সৌদি আরব ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে। তবে ইরান চীনের মধ্যস্থতায় চুক্তির অধীনে মার্চ মাসে সম্পর্ক সংশোধন করতে সম্মত হয়েছিল।
সোমবার একদিকে পশ্চিম তীরে জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরু করে, অন্যদিকে ইরান-ফিলিস্তিনি আলোচনা শুরু হয়।
এই অভিযানে একজন ইসলামিক জিহাদ বিদ্রোহীসহ পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং পাঁচ ইসরায়েলি সীমান্ত পুলিশ ও দুই সেনা আহত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, অভিযানের লক্ষ্য ছিল দুই ‘কাঙ্ক্ষিত সন্দেহভাজনকে’ গ্রেপ্তার করা, যাদের একজন হামাসের এবং অন্যজন ইসলামিক জিহাদের।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা অনুসারে, একটি বড় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে সোমবার হানিয়েহ ইরানে পৌঁছন। তিনি রাইসি, খামেনি এবং অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ইরান ফিলিস্তিনিদের কট্টর সমর্থক এবং তাদের চিরশত্রু ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না, যারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হামাস ও ইসলামিক জিহাদকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.