ফিলিস্তিনপন্থীদের বিরুদ্ধে কথা বলা জার্মান কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জার্মানির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ সরকারি কর্মকর্তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেওয়া শিক্ষকদের তহবিল কাটা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মে মাসের শুরুতে প্রায় ১৫০ ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থী গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদ জানাতে বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের একটি স্থানের দখল নিয়েছিল। এরপর পুলিশ গিয়ে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
৭৯ জনকে সাময়িক আটক করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছিলেন প্রায় ১০০ শিক্ষক। তারা শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিলেন।
এই ঘটনার পর ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেওয়া শিক্ষকদের তহবিল কাটা যায় কি না তার আইনি দিক খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছিলেন সাবিনে ড্যোরিং।
তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি। জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন ড্যোরিং।
জার্মান প্রচারমাধ্যম এআরডি এই বিষয়ে প্রতিবেদন করার পর শিক্ষামন্ত্রী বেটিনা স্টার্ক-ভাটৎসিঙ্গার ওই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুতির অনুরোধ জানিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় এই সংবাদটি জানাজানি হয়।
ড্যোরিং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিকে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পাঠানো বিবৃতিতে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের চালানো হামলার উল্লেখ না করার সমালোচনা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। রবিবার আবারও তিনি সেটি উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যরা হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে বিবেচনা করে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.