বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের দেশ সান মারিনো। এর মধ্যদিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৫৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলো।
ফিলিস্তিনের ওয়াফা নিউজের প্রতিবেদন মতে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক সভার পঞ্চম দিন শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন সান মারিনোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেকারি। এর আগে চলতি সপ্তাহে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল।
জাতিসংঘের ভাষণে সান মারিনোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেকারি বলেন, গত ১৫ মে আমাদের পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে চলতি বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ এই পরিষদের সামনে আমরা সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিচ্ছি: সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
এ সময় তার এই ঘোষণাকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান উপস্থিত রাষ্ট্রপ্রধান ও কূটনীতিকরা।
লুকা বেকারি বলেন, ‘একটা রাষ্ট্র থাকা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার। এটি হামাসের জন্য কোনো পুরস্কার নয়।’ তিনি গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এটাকে ‘অসহনীয়’ এবং ‘আমাদের সময়ের সবচেয়ে বেদনাদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী ট্র্যাজেডিগুলোর একটি’ বলে অভিহিত করেন।
এই কূটনীতিক গাজায় অবিলম্বে ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, পূর্ণ ও ত্রাণ সহায়তার অবাধ প্রবেশাধিকার এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধের আহ্বান জানান। বলেন, নির্বিচারে বোমাবর্ষণ, অনাহার ও বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের সম্মিলিত শাস্তিকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না।
গণহত্যা বন্ধে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি ঐক্য ও দৃঢ়তার সাথে কাজ না করি, তাহলে মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে পাশাপাশি বসবাসকারী দুটি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি হারিয়ে যাবে। এই অন্ধকার সময়ে আমাদের দায়িত্ব আরও জরুরি হয়ে উঠেছে।’ #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.