ফিফটি-সেঞ্চুরি মিস হচ্ছে, তাই খারাপ লাগে : মুশফিকুর রহীম

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের মধ্যে সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত মুশফিকুর রহীম। সবার আগে অনুশীলন কিংবা ফিটনেস নিয়ে কাজ, সবার অগ্রভাগেই সবসময় থাকেন তিনি।

করোনাকালেও মুশফিক এতে স্বাক্ষর রেখেছেন। ব্যক্তিগতভাবে বাসায় বিভিন্নভাবে ফিটনেস নিয়ে কাজ তো করেছনই, সবার আগে এককভাবে অনুশীলনের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন তিনি, শুরুও করেছেন।

এবার ঈদের পরে মুশফিক চান দলীয় ভাবে যাতে অনুশীলন শুরু করতে। আজ রবিবার (২৬ জুলাই) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ধাপের অনুশীলনের শেষ দিনে এমন ইচ্ছার কথাই জানান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

‘বিশ্বের অনেক দেশেই ক্রিকেট ফিরছে, যদিও তুলনা করতে গেলে তাদের সাথে আমাদের প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন। তবুও আমি আশাবাদী, ঈদের পর যদি পরিস্থিতি আরেকটু উন্নতি হয় আমরা যেন আবার আকসাথে একটা দল হয়ে অনুশীলন শুরু করতে পারি’, ঠিক এভাবেই বলছিলেন মুশফিক।

করোনাভাইরাসের জন্য বাংলাদেশের প্রায় পাঁচটি সিরিজ স্থগিত হয়েছে। এ বছর হবে না এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। তবে আশার আলো, ধীরে ধীরে ক্রিকেট ফিরতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশে।
ইংল্যান্ড-ওয়েস্টইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ চলছে জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে। টিভিতে এসব খেলা দেখতে আফসোস লাগে মুশফিকের। আরও খারাপ লাগে বাংলাদেশের এই সিরিজগুলো হতো অনেক-ফিফটি সেঞ্চুরি পেতেন, এখন এগুলোও হচ্ছে না।

হতাশা মাখা কন্ঠে মুশফিক বলেন,  ‘খেলা দেখলে আসলে আফসোস লাগে। সারা দিন বাসায় বসে পরিবারের সাথে সময় কাটানো ও খেলাটাই দেখা হয়। একটু হলেও খারাপ লাগে অনেকগুলো ৫০ বা ১০০ মিস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু চেষ্টা করছি টিভিতে খেলা দেখে কীভাবে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা যায়। আর সব ঠিক থাকলে সামনে আমাদের কী কী খেলা সেগুলো নিয়েও মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া।‘

তবুও তিনি মানিয়ে নিচ্ছেন সব কিছু। ‘দেখেন সবকিছুই আসলে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার। আমরা কেউইই চাইনা যে বাসায় বসে থাকতে। গত চার মাস আমাদের প্রায় বাসায়ই বসে থাকতে হয়েছে। যে নিয়ম কানুন গুলো হবে সেগুলো অবশ্যই ভালোর জন্য। এবং এটা আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। আমি মনে করি শুরুতে কিছুটা সমস্যা হলেও অনুশীলনে আসতে আসতে অভ্যাস করে ফেলতে পারলে খুব একটা সমস্যা হবেনা’, এভাবেই বলছিলেন তিনি।

ক্রিকেট হচ্ছে না। তাই বলে বসে থাকারও উপায় নেই। একজন ক্রিকেটারের ভালো করার প্রধান অস্ত্র হলো নিজের ফিটনেস। ফিটনেস ঠিকতো সব ঠিক। তাই মুশফিকও ফিটনেসের দিকেই নজর দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমরা যেন ফিটনেস ধরে রেখে, স্কিল নিয়ে কাজ করে মানসিকভাবে ফিট থাকতে পারি সেটা চেষ্টা করতে হবে। আমরা সে কাজগুলোই করছি। নিয়মিত কোচদের সাথে বসছি, অনলাইনে অনেক আলোচনা করছি। আমরা মনে করি সব মিলিয়ে সময়টা খারাপ যায়নি। পরিবারের সাথে ভালো একটা সময় কেটেছে। এখন মুখিয়ে আছি মাঠের মানুষ যেহেতু মাঠেই ফিরতে পারি এবং ম্যাচ খেলতে পারি।’

গত রবিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া অনুশীলন শেষ হয়েছে আজ। একাধারে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও রাজশাহীতে অনুশীলন শুরু করেছিলেন ক্রিকেটাররা। ঈদের পর আবারও শুরু হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.