ফল খাওয়ার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পাবনার ফরিদপুরে ফল উৎসব 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘রঙিন ফলে বর্ণিল উৎসব, ফলে ফলে মধুমাস উদযাপন’ এই প্রতিপাদ্যে ফল খাওয়ার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার উদ্যোগে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবে শোভাযাত্রা, ফল খাওয়া ও নানা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। 
কেএম মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে সোমবার (৫ জুন) সকালে ফরিদপুর বাজারের থানা পাড়া রোডের স্কুল এন্ড কলেজের নিজস্ব ক্যাম্পাস থেকে বিভিন্ন ফলের ডালা নিয়ে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ফরিদপুর বাজার, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ চত্বর হয়ে আবার ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার মো. কামরুজ্জামান মাজেদ, কেএম মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক শফিউল ইসলাম, অধ্যক্ষ মো. এনামুল হক, স্কুলের শিক্ষক মাও আসাদুল্লাহ, মাহবুব হক, শাহ আলম, ব্রজেন্দ্রনাথ ডলার, আরিফুল ইসলাম, নুর জাহান জুঁই, জাহাঙ্গীর আলম, হুসাইন আহমেদ, নুর জাহান খাতুন, আল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফল উৎসবে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, কলা, তালশাঁস, আনারস, পেপের মতো মৌসুমি ফলসহ দেশি-বিদেশি ৩০ রকমের ফলের প্রদর্শনী করা হয়।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে পরিচিত করানো হয় সবগুলো ফলের সঙ্গে। কোন ফলের কী উপকারিতা তাও তুলে ধরা হয় শিক্ষার্থীদের কাছে।অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্রিয় ফলের মতো করে সেজেও আসে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী, আব্দুল্লাহ ও ইশরাত জাহান দোলা বলেন, আমাদের স্কুলে ফল উৎসবের আয়োজন খুব ভালো লাগছে। একদিকে আমরা আনন্দ ভোগ করছি অন্যদিকে বিভিন্ন ফলের উপকারিতা জানতে পারছি।
কেএম মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. এনামুল হক বলেন, সুস্থ থাকতে ফল খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এই ধরনের ফল উৎসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ফল খেতে এবং সুস্থ জীবন লাভে উৎসাহিত করবে। এবং শিক্ষার্থীরা আনন্দিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ছেলেমেয়েদের শিক্ষার পাশাপাশি সমাজকে সচেতন করাও আমাদের দায়িত্ব।  বাংলা সাহিত্যে মধুমাসের ফলকে কেন্দ্র করে অনেক লেখা রয়েছে। মধূমাসের ফল খেলে আমাদের সুস্থ থাকাসহ সার্বিক দিকে ভালো রাখে। সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য প্রাকৃতিক ফল খাওয়ার বিকল্প নেই। দেশের বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফলে ফরমালিন ব্যবহার করে। সেগুলো বাজার থেকে কিনে শিশু বাচ্চাদের খাওয়ানো হয়। যেগুলো আমাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের দেশ থেকে অনেক ফল হারিয়ে যাচ্ছে । দেশীয় ফল বেশি করে লাগাতে হবে। দেশীয় ফলের স্বাদ বেশি। রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশীয় ফলের গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শফিউল ইসলাম বলেন, মানুষকে মধুমাসের কথা জানাতে ও ফলের উপকারিতার বার্তা দিতেই এমন আয়োজন। এখন মানুষের মধ্যে ফল খাওয়ার অনীহা তৈরি হয়েছে।  প্রত্যেক ফলে আল্লাহর রহমত আছে। প্রত্যেক মানুষের জন্য সৃজনাল ফল খাওয়া খুব জররুরী। মধুমাসে ফল ব্যবসায়ীরা কীটনাশক মিশিয়ে ফলগুলোকে দুষিত করবেন না। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.