ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক সাংবাদিক রাশেদ রিপনকে হুমকি দেয়ায় নিন্দা-উদ্বেগ


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ধর্ষণের শিকার এক শিশু ও ওয়ান স্টপ ক্রাইসস সেন্টারের সমন্বয়কারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের ডা. ফারহানা ইয়াসমিন কর্তৃক দূর্ব্যবহারের বিষয়টি জানতে চেয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী রাশেদ রিপন।

এসময় তথ্য সূত্র জনানোর জন্য চাপ দেন এবং মামলা করা হুমকি দেন ওই চিকিৎসক। এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ।

পৃথক পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এই ধরণের আচারণ নিন্দনীয়। দুঃখজনকও বটে। ক’দিন আগে স্বামীর নির্যাতনের অভিযোগ না নেয়ায় রাজশাহীতে থানা থেকে বেরিয়ে থানার সামনে নিজের শরীরে আগুন দেয় লিজা রহমান নামের এক কলেজ ছাত্রী। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। দায়িত্ব অবহেলা একজন অসহায় মানুষের প্রাণনাশের কারণ হতে পারে। জবাবদিহিতাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখার সংকীর্ণতা থেকে আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসা উচিৎ। সমাজে সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারলে দুর্নীতি ও দায়িত্ব অবহেলা দূর করা সম্ভব না।

প্রসঙ্গত:   আজ বুধবার দুপুরে একটি ধর্ষণ মামলার ভিকটিমকে নিয়ে ওয়ান স্টপ ক্রাইসস সেন্টারের সমন্বয়কারি ডা. আমেনা বেগম এবং একজন স্টাফ নার্স ফরেনসিক বিভাগে যান। ডাক্তারি পরিক্ষার আগে ফরেনসিক পরিক্ষা কক্ষের বাইরে কথা বলার সময় ডা. ফারহানা ইয়াসমিন ভিকটিমের সাথে দূব্যবহার করেন। এসময় ডা. আমেনা এর প্রতিবাদ জানান। এ সময় এই বিভাগে উপস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষক তার এই আচরণের প্রতিবাদ করেন। ডা. ফারহানা এ সময় সবাইকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

ঘটনার বিষয়ে দুপুর ২.৫৩ মিনিটে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে ডা. ফারহানা সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী রাশেদ রিপনকে মামলা করার হুমকি দেন। তিনি জানতে চান কে তাকে এই তথ্য দিয়েছে। তিনি তার বিরুদ্ধেও মামলা করবেন বলে জানান।

বার্তা প্রেরক: আসলাম-উদ-দৌলা, সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.