ফণী’র প্রভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মুসলধারে বৃষ্টি ও ঝড়। তেমন ক্ষতি না হওয়ায় স্বস্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে আজ শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত মুসলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সরাসরি আঘাত না হানলেও বৃষ্টির সাথে ছিল থেমে থেমে ঝড়ো বাতাস। তবে তেমন বা বড় কোন ক্ষতি না হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাবাসী ও প্রশাসন। ফণী’র আঘাতে বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আম ও বেরো ধানের ফলন অনেক কমবে বলে আশংকা করছেন কৃষকরা।

আজ শনিবার বিকেল ৫টার পর পশ্চিম আকাশে সূর্য উঁকি দিলে তাতেই আশার আলো খুঁজে পায় জেলাবাসী।

আজ সকালে জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, সারারাতের টানা বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় রাস্তা তলিয়ে যায়। ছোট-বড় ডোবা-নালা ও আমের বাগান ভরে যায় বৃষ্টির পানিতে। শহরের নিউমার্কেট-ক্লাব সুপার মার্কেটের সামনের রাস্তা, নিমতলা থেকে ম্যাথরপাড়া মোড়, ইসলামপুর থেকে ভেলুর মোড়, স্কুল-কলেজ রোড, বিভিন্ন স্কুলের মাঠ, বাঁতেন খাঁর মোড়, শহরের মাছ ও সবজী বাজার, নয়াগোলা, বালুগ্রাম মোড়সহ অনেক রাস্তায় পানি জমে যাওয়ার কারনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পথচারীসহ অন্যান্য বিভিন্ন যানবাহনের। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কাওকে বাইরে বের হতে দেখা যায়নি এবং বেশির ভাগ দোকানপাট দুপুরের পরে খুলেছে। দুপুরের আগে রাস্তায় যানবহনের পরিমানও ছিল হাতে গোনা।

এদিকে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী সরাসরি আঘাত না হানায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন জেলার কৃষকরা। সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের চাঁপাই- মহেশপুর গ্রামের কৃষক মো. রাকিব হোসেন জানিয়েছেন, বৃষ্টির সাথে সাথে বাতাসে ধানের চারাগুলো সব মাটির সাথে নুয়ে পড়েছে। এতে ধান গেঁজে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং কাটতেও অনেক অসুবিধা হয়। যাতে ধানের ফলনও কমে যাবে।

শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের আমচাষী জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, অনেক ভয়ে ছিলাম। কি জানি, কি হয়? আলহাম্দুলিল্লাহ, শুধু বৃষ্টির মধ্য দিয়েই পার হয়েছে। সামান্য কিছু আম পড়লেও এতে বড় কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতের পর ৮৭-১০০ কি.মি. বেগে আঘাত হানার কথা ছিল ঘূর্ণিঝড় ফেণী’র। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলেই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি জরুরী সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। সভায় সকল কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয় এবং যারা ছুটিতে ছিলেন তাদেরকেও কর্মস্থলে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হয়। ঘূর্ণিঝড় ফেণী আঘাত হানার পর উদ্ধার তৎপরতা চালাতে জেলার পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, বিএনসিসি, রোভারসহ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকার আহব্বান জানান জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মো: আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.