‘প্রিয় নেতার নির্দেশনা নিতে লন্ডনে এসেছি’ : মির্জা ফখরুল

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: গতকাল রোববার লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপির ইফতারপূর্ব এক আলোচনায় অংশ নিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ এক মহাসংকটে নিপতিত। গণতন্ত্র শৃঙ্খলিত। দেশের মাটি মানুষের নেত্রী, গণতন্ত্রের মা আজ কারাগারের অন্ধকার প্রকৌষ্টে বন্দী। এ অবস্থায় আমাদের প্রিয় নেতার নির্দেশনা নিতে লন্ডনে এসেছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সম্পূর্ণ বেইআইনীভবে গায়ের জোরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে সরকার। এটা সরকারের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নের নীলনকশা ছাড়া আর কিছুই না।

পূর্ব লন্ডনের হাইস্ট্রীট নর্থ এর দি রয়্যাল রেজেন্সী হোটেলে যুক্তরাজ্য বিএনপির আয়োজনে এই ইফতার মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে সহস্রাধিক বিএনপি সমর্থক প্রবাসী নেতাকর্মী বৃহত্তম এই সমাবেশে যোগ দেন।

বিশাল এই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারে অমানবিক আচরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে দেশে আটকে রেখেছে একটা কারণে, আর তা হলো তারা দেশনেত্রীকে প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করে।

দেশে মানুষ আতঙ্কে কথা বলতে পারছে না মন্তব্য করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, নানা ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে আপনি নেতার আসনে আসীন হয়েছেন। আপনার চলার পথ মোটেই কসুমাস্তীর্ণ ছিলোনা। আপনার দিকে দেশবাসীর প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। দেশকে এই ধ্বংসস্তুপ থেকে তুলে আনার দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাধাবিপত্তি আসবে, সংগ্রাম করে যেতে হবে। বিএনপির দুর্দিনে আমাদের একজন নেতাকর্মীকেও নিজেদের দলে টেনে নিতে পারেনি সরকার। আমরা খুব আশাবাদী, দেশে জাতীয় ঐক্য তৈরি হবে। আমাদেরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি, যে দিন খালেদা জিয়া কারামুক্ত হবেন এবং তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরবেন।

দেশের জন্য খালেদা জিয়া অনেক ত্যাগ আর কষ্ট স্বীকার করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রী যখন অবরুদ্ধ অবস্থায় তার কার্যালয় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক এমনি সময়ে ছোট ছেলের মৃত্যু সংবাদ পান। মায়ের সামনে ছেলের লাশ, কত কষ্টের ভাবা যায়! তার বড় ছেলে আজ নির্বাসিত অবস্থায় আছেন। স্বামী হারিয়েছেন , বড় ছেলে দেশের বাইরে আর তিনি কারাগারে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.