প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বেশী উধাও প্রাণদায়ী যন্ত্রাদির

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: কলকাতার সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এস এস কে এম (পি জি) হাসপাতাল থেকে প্রায় কুড়ি লক্ষাধিক টাকার যন্ত্রাদির কোনও হদিস নেই। পরিবর্তে রয়েছে পুরান ভাঙাচোরা মেশিন পত্র। যা দেখে তাজ্জব চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিভাগিয় কর্মীবৃন্দ সকলে।
কি করে এত বড় ঘটনা একটা শহরের প্রতিস্ঠিত হাসপাতাল থেকে ঘটতে পারে তা নিয়ে তাজ্জব সকলে। ঘটনা হল কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইছে না। এত পুরান যন্ত্রপাতি আসল কোথা থেকে কেই বা রেখে গেল কোনও সদুত্তর জিজ্ঞেস করেও পাওয়া যায় নি।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে সবাই পিছুমোড় দেয়। হাসপাতালের কোন আধিকারিক ও আমাদের সাথে কথা বলতে চায় নি।
সূত্র মারফত জানা যায় ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের তদন্তকারী কমিটি গঠন করেছেন।
কয়েকদিন আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাণদায়ী মূল্যবান ‘তোসিলিজুমাব’ ওষুধ গায়েব হয়ে যায়। এখনও সেই নিয়ে নানামহলে জল্পনা চলছে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই পিজির ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট থেকে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকার বেশী প্রাণদায়ী যন্ত্রাদির গায়েব ও গরমিলের ঘটনায় পুরো স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসেছে।
পিজি হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে ইকো,ইসিজির নতুন মেশিনের প্যাকেটে পুরান মেশিন পাওয়া গেছে।
ভেন্টিলেটর,হল্টার মনিটর ইত্যাদির কোন হদিস নেই। এসব মেশিন গুলো সব ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে থাকার কথা। এ বিষয়ে আমরা বারংবার চেষ্টা করেও পিজির অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোনে বা সাক্ষাতে পাই নি।
প্রসঙ্গত পিজির ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট রাজ্যের মধ্যে অন্যতম সেরা বলে বিবেচিত হয়।
প্রায় এক বছর ধরে কোন না কোন বিতর্কের মধ্যে থেকেছে এই হাসপাতাল। চলতি বছরের শুরুতেই এক ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ ওঠে এক সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ‘মি টু’ সংক্রান্ত এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট জল ঘোলা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ সহকারী অধ্যাপক সহ বিভাগীয় প্রধানকে অন্যত্র বদলি করা হয়।তাঁদের হাত থেকে বর্তমান কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বুঝে নেবার সময় স্টক মেলাতে গিয়ে এই গরমিল নজরে আসে। আর্থিক কোন অনিয়মের ঘটানাও একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে সূত্রের খবর।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.