‘প্রায় পারফেক্ট’ ভিনিসিউস বললেন, ‘কখনোই নিজের জন্য খেলি না’

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: অবশেষে ভিনিসিউস জুনিয়রকে খুঁজে পাওয়া গেছে! নাহ, তিনি হারিয়ে যাননি। তবে অচেনা হয়ে ছিলেন। রেয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে যে ভিনিসিউস বিশ্বের সেরাদের একজন, ব্রাজিলের জার্সিতে সেই তিনিই ছিলেন ম্লান। এবার সেই হতাশাকে পেছনে ফেলে প্রত্যাশার আলোয় নিজেকে রাঙাতে পারলেন তিনি।
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে তার পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়র। ভিনিসিউস নিজে বললেন, সবসময় দলের জন্য সর্বোচ্চটা দেওয়ার প্রচেষ্টাই তার থাকে।
কোপা আমেরিকায় প্রথম ম্যাচে কোস্টা রিকার সঙ্গে ড্রয়ের পর প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জয়টা জরুরি ছিল ব্রাজিলের জন্য। কাঙ্ক্ষিত সেই ফল পেতে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন ভিনিসিউস। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে প্যারাগুয়েকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। প্রথমার্ধেই দুটি গোল করেছেন ভিনিসিউস।
হ্যাটট্রিকের সুযোগও তার ছিল। এ দিন দুটি পেনাল্টি পেয়েছে ব্রাজিল। তবে কোনোটিই নেওয়ার সুযোগ পাননি ভিনিসিউস। দুটি পেনাল্টিই নেন লুকাস পাকেতা। একটিতে ব্যর্থ হলেও অন্যটিতে গোল করেন তিনি।
পেনাল্টি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়তো দলের বা কোচের। সেটি ভিনিসিউসের নিয়ন্ত্রণে নেই। তার নিয়ন্ত্রণে যা ছিল, সেখানে তিনি দারুণ সফল এ দিন। রেয়ালের জার্সিতে যেভাবে দেখা যায়, প্রতিপক্ষের রক্ষণে এ দিন সেরকমই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছেন তিনি বারবার।
ম্যাচের পর ব্রাজিলের কোচ দরিভাল স্তুতিতে ভাসালেন ভিনিসিউসকে।
“আজকে সে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সে প্রায় নিখুঁত এক ম্যাচ খেলেছে। খুব ভালো সুযোগ তৈরি করেছে। খুবই গতিময়, কার্যকর, লক্ষভেদী ও দ্বিধাহীন ছিল সে। অন্যদের সঙ্গে তার সমন্বয়ও ভালো ছিল এবং ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে। তার সামর্থ্য তো সবসময়ই দারুণ।”
ব্রাজিলের হয়ে পারফর‌ম্যান্সের কারণে ভিনিসিউসের যে সমালোচনা হচ্ছিল, সেসব তা অজানা নয়। ম্যাচের পর তার প্রতিক্রিয়াতেও তা ফুটে উঠল।
“আমি সবসময়ই বলে আসছি যে, কখনোই নিজের জন্য খেলি না। সবসময়ই দলের জন্য খেলি। রেয়াল মাদ্রিদের মতোই ব্রাজিলের হয়ে যখন খেলি, দেশের হয়ে যখন খেলি, সবসময়ই চেষ্টা করি সবচেয়ে ভালো কিছু করতে। তবে সবসময় তো একইরকম পারফরম্যান্স সম্ভব নয়।”
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে নিজের পারফরম্যান্সে ভিনিসিউস খুশি। তবে এখনই তৃপ্ত নন তিনি। আরও ঘাম ঝরিয়ে আরও উন্নতি করে ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিততে সহায়তা করতে চান ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
“আমি যে পর্যায়ের ফুটবলার, আজকে সেই মানের ফুটবল খেলতে পেরেছি। এবং এটাও জানি, ব্রাজিল দলে অবদান রাখার জন্য আরও অনেক উন্নতি করতে পারি আমি। যে জায়গাটা ব্রাজিলের প্রাপ্য, সেখানে দলকে তুলে নিতে প্রতিদিন আরও কঠোর পরিশ্রম করতে পারি। সেই লক্ষ্য পূরণে, কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের জন্য আরও পরিশ্রম করে যাব।” #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.