প্রাণহানি বেড়ে ১৪০, বাড়ি ছাড়া ১০ হাজার ফিলিস্তিনি

(প্রাণহানি বেড়ে ১৪০, বাড়ি ছাড়া ১০ হাজার ফিলিস্তিনি–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমা হামলা টানা ষষ্ঠ দিনেও অব্যাহত রয়েছে। আজ শনিবার (১৪ মে) শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৮ শিশুসহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গত সোমবার (১০ মে) শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গাজায় এ পর্যন্ত ৩৯ শিশুসহ ১৪০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন ৯৫০ জন। খবর আলজাজিরার।

রক্তক্ষয়ী সহিংসতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানবিক সংকট বাড়ছে। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে উত্তর গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

জাতিসংঘ বলছে, ক্রমাগত ইসরায়েলি আক্রমণে প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি বাড়ি ছেড়েছে।

উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের আশকেলন ও আশদোদ শহরকে লক্ষ করে রকেট নিক্ষেপ করে সর্বশেষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিন নামের যে এলাকা, সেটি ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের অধীন। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমানদের পরাজয়ের পর ব্রিটেন ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন ফিলিস্তিনে যারা থাকতো তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল আরব, সেই সঙ্গে কিছু ইহুদি, যারা ছিল সংখ্যালঘু।

ইহুদিরা এই অঞ্চলকে তাদের পূর্বপুরুষদের দেশ বলে দাবি করে। কিন্তু আরবরাও দাবি করে এই ভূমি তাদের এবং ইহুদিদের জন্য সেখানে রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টার তারা বিরোধিতা করে।

১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে পুরো শহরকে সংযুক্ত করে। তবে তাদের এমন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কখনও স্বীকৃতি পায়নি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.