বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করবেন না ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিয়ো লুলা দ্য সিলভা। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি।
ব্রাজিল থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। সেই প্রেক্ষিতে ট্রাম্প দাবি করেন, লুলা তাকে ফোন করবেন। কিন্তু সেই দাবি নস্যাৎ করে দিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের দাবি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে লুলা বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। আমি কখনওই ট্রাম্পকে ফোন করব না। কারণ, তিনি আলোচনা চান না।’ ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের দিনটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘সবচেয়ে দুঃখজনক দিন’ বলেও উল্লেখ করেন লুলা।
শুল্ক আরোপ নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। তার কথায়, ‘আমি শি জিনপিংকে ফোন করব। ফোন করব প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও। অন্যান্য বিশ্বনেতাদেরও ফোন করব।’
সম্প্রতি বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের ওপর নতুন করে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। এর মধ্যে পুরনো বাণিজ্য অংশীদার ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা জানান তিনি।
কেন শুল্ক চাপানো হলো তার ব্যাখ্যা দিয়ে লুলাকে পাঠানো শুল্ক-চিঠিতে ট্রাম্প অভিযোগ করেন যে, স্বাধীন নির্বাচনের ওপর বারবার আঘাত করা হচ্ছে ব্রাজিলে। দেশটিতে আমেরিকানদের বাকস্বাধীনতার অধিকার খর্ব করা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে ব্রাজিলের ওপর তার ক্ষোভের কারণ যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া, তা স্পষ্ট করে দেন ট্রাম্প। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলাকে পাঠানো চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘শ্রদ্ধেয় বোলসোনারোর সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। এই বিচার প্রক্রিয়া চলতে পারে না। এটা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।’
ভারত, চীন ও ব্রাজিল ব্রিকসের সদস্য। সম্প্রতি ব্রিকস সম্মেলনে কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা এবং ইরানে ইসরাইলি ও মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিবৃতি দেয়া হয়েছে। যদিও সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইলের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তার পরই ট্রাম্প ব্রিকস-এ যুক্ত দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দেন। জানান, ব্রিকস-এর আমেরিকাবিরোধী নীতির সঙ্গে যে সব দেশ যুক্ত থাকবে, তাদের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এরই মধ্যে ভারতের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই জানা গেছে, খুব শিগগিরই চীন সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.