প্রশাসনিক সুবিধায় রাজ্যের নয়া প্রকল্পের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, জুন পর্যন্ত ফ্রি রেশন,”দুয়ারে দুয়ারে,

(প্রশাসনিক সুবিধায় রাজ্যের নয়া প্রকল্পের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, জুন পর্যন্ত ফ্রি রেশন,”দুয়ারে দুয়ারে)
কলকাতা প্রতিনিধি: রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক এই দুই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর চলতি বাঁকুড়া সফর। এই সফরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে আরও সক্রিয় করে তোলার জন্যে ঘোষণা করলেন নতুন স্কিম।
রাজ্য সরকার ঘোষণা করল “দুয়ারে দুয়ারে বাংলার সরকার”। ইতিমধ্যেই একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনের সব স্তরের আধিকারিকদের বলেছিলেন, একেবারে ব্লক স্তর অবধি পৌছে যাওয়ার জন্যে।
যদিও একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ আসে, সরকার থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য তারা পাননি৷ আগামী দিনে রাজ্যের মানুষ যাতে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন সেই বিষয়কে স্মরণ করেই মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্প।
বাঁকুড়ার খাতড়ার সিধু কানহু স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ” আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি অবধি বাংলার প্রতি ব্লকে ব্লকে এই প্রকল্পের ক্যাম্প চলবে।
সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩ টে অবধি চলবে এই ক্যাম্প।” মুখ্যমন্ত্রী এদিন সভায় আগত মানুষদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তাদের যা যা অসুবিধাআছে তা তারা যেন এই ক্যাম্প গিয়ে তাদের সব অসুবিধার কথা জানান। প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানিয়েছেন,এই প্রকল্পের মাধ্যমে সব কাজ যেন দ্রুত শেষ করা হয়এদিন মুখ্যমন্ত্রী মুকুটমণিপুর থেকে খাতড়া আসার পথে গিয়েছিলেন এক আদিবাসী গ্রামে।
সর্দার পাড়া নামে ওই গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন গ্রামবাসীদের সাথে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এই বাঁকুড়া জেলায় আসেন মোদীর সেনাপতি তথা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অমিত শাহ। তিনি আদিবাসী গ্রামে গিয়ে এক পরিবারে মধ্যাহ্ন ভোজ সেরেছিলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই দিনের কর্মসূচীর কটাক্ষ করেছেন।
মমতা বন্দোপাধ্যায় এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে বলেন, “আমি তফশিলী গ্রামে গিয়েছিলাম। সকলের সঙ্গে আমার কথা হল। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মতো ফাইভ স্টার হোটেল থেকে বাসমতি চালের ভাত এনে খাবার খাই না। আদিবাসী পরিবারে রঙ করে, স্যানিটাইজ করে আমি আসিনি। রান্নার সময় কাটা হচ্ছিল  ধনে পাতা, খেলেন তিনি পোস্তর বড়া। মানুষ এখন সব দেখতে পায়।”
এদিন গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গ্রামবাসীদের থেকে রেশন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী সুবিধে পাচ্ছে কিনা, সব নিয়ে জানতে চান। হঠাৎ করেই মুখ্যমন্ত্রীর গ্রামে চলে আসায় হতবাক হয়ে গিযেছিলেন গ্রামবাসীরা। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সামনে থাকা খাটিয়ায় বসে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ তাদের সাথে কথা বলেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আগামী জুন মাস অবধি বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। আমাদের সরকার থাকবে, আর আমরা আবার বিনামূল্যে রেশন পাওয়ার মেয়াদ বাড়িয়ে দেব। সরকার আমাদেরই থাকবে।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, `কাজ করতে গেলে সব জায়গায় কিছু খারাপ লোক থাকে। একজনকে দেখে সকলের সম্পর্কে ধারণা করলে চলবে না ৷’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.