প্রযুক্তিগত সমস্যায় ৫০ মিনিট জনবিচ্ছিন্ন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

(প্রযুক্তিগত সমস্যায় ৫০ মিনিট জনবিচ্ছিন্ন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফের সেলফ আইসোলেশনে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশের জনগণকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে এসে প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়েন। এসময় টানা ৫০ মিনিট জনবিচ্ছিন্ন ছিলেন তিনি।
করোনাভাইরাসের বিরদ্ধে কার্যকর টিকার আপডেট, নতুন করে নেয়া লকডাউনের বিষয়ে ও বড়দিনের উৎসব পালনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে সরকারি বাসভবন লন্ডনের ১০নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
লকডাউন নিয়ে বারবারই সংশয় প্রকাশ করে আসছিলেন দলের রাজনৈতিক ও পার্লামেন্ট মেম্বার মার্ক জেমস হার্পার। প্রধানমন্ত্রী বরিস যখন মার্কের প্রশ্নের উত্তর দিতে যান ঠিক তখনই কোন সমস্যা দেখা দেয় প্রধানমন্ত্রীর ল্যাপটপে। ফলে তার কোন কথা (শব্দ) শুনতে পাচ্ছিলেন না কেউ। তবে, বিশাল পর্দায় তখনও তার (বরিস) উপস্থিতি ছিলেন এবং তিনি কথা বলেই যাচ্ছিলেন।
এসময় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। ওই লাইভ অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক স্পিকারও বারবার চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, আমরা আপনাকে শুনতে পাচ্ছি না। আপনি কি ভুলক্রমে মিউট বাটনে চাপ দিয়েছেন?’
এই প্রশ্নটি বরিস জনসনের জন্য কিছুটা লজ্জাকর ছিল। কারণ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কখনই এ ধরনের কোন সাধারণ ভুল করতে পারেন না। কারণ, এ সংক্রান্ত প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান তিনি নিয়েছেন আলোচিত মার্কিন প্রযুক্তিবিদ জেনিফার ম্যারি আর্কুরির কাছ থেকে।
তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রযুক্তিসংক্রান্ত সমস্যাটি সহজে সমাধান করা সম্ভব হয়নি। তিনি সেলফ আইসোলেশনে থাকায় কারো পক্ষে সহজে তার কাছে যাওয়া সম্ভব ছিল না। সমস্যা চলতে থাকায় স্পিকার দেশটির স্বাস্থ্য সচিব (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) ম্যাট হ্যানকককে প্রধানমন্ত্রীর হয়ে কথা বলার অনুরোধ করেন।
অবশেষে ৫০ মিনিট পর দূর হয় এই সমস্যা। এবার পর্দায় স্বশব্দে উপস্থিত হন বরিস জনসন। এবং সমস্যার কথা উল্লেখ করে প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, আমি আশা করবো আপনারা কেউ ভাববেন না আমি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলাম…
এরপর আবার প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা শুরু হয়। প্রশ্ন করেন নিউ ফরেস্ট ওয়েস্টের পার্লামেন্ট মেম্বর স্যার ডেসমন্ড সুইয়েন, যিনি লকডাউনের বেশ ভালো মানের সমালোচক হিসেবে পরিচিত। তার প্রশ্নটি অবশ্যই খুব আন্তরিক ছিল না। করোনাকালে ক্রিস্টমাস উদযাপন নিয়ে নানা সতকর্তা মানতে তিনি রাজি নন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.