প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া কমিটি করে সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ

পাবনা প্রতিনিধি: বেড়া উপজেলার মাশুমদিয়া ইউনিয়নের বুলুন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৩ বছর ম্যানেজিং কমিটি গঠন না করে নীতিমালা অমান্য করে ভুয়া এডহক কমিটি গঠন করে সরকারি বরাদ্দকৃত কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, ঐ বিদ্যালয়ে ২০১৭ সাল থেকে কার্যকরী কোন ম্যানেজিং কমিটি নাই। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ০৬/১১/২০১৯ তারিখে জারিকৃত দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য, “ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রজ্ঞাপন-২০১৯” এ বলা হয়েছে কোন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন যুক্তিসঙ্গত কারণে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা না হলে সাময়িকভাবে সর্বোচ্চ ৬ ছয় মাসের জন্য এডহক কমিটি গঠন করা যেতে পারে। ৬ ছয় মাসের মধ্য নিয়মিত কমিটি গঠন করতে হবে।। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ আওতায় অসদাচরণ এর দায়ে দায়ী হবেন।

এ ছাড়াও স্লিপ গ্র্যান্ড এর টাকা, মেরামতের টাকা পাওয়ার জন্য সেই বিদ্যালয়ে কার্যকরী ম্যানেজিং কমিটি, পিটিএ কমিটি, সামাজিক মূল্যায়ন কমিটি থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ, বুলুন্দর স.প্রা.বি. চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদের যোগসাজনে এডহক কমিটি গঠন করে বিগত তিন বছর যাবত বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত সমুদয় টাকা কর্মকর্তার সাথে ভাগ বাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করেছে।

২০১৯-২০ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত স্লিপের ৫০ হাজার, ক্ষুদ্র মেরামতের ২(দুই) লক্ষ এবং প্রাক প্রাথমিক এর জন্য বরাদ্দকৃত ১০ হাজার টাকা কাজ না করে বিগত বছরগুলোর ন্যায় সহকারী উপজেলা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে। প্রদান শিক্ষক হিসাবে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদানের পর ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত স্লিপের ৫০ হাজার, ক্ষুদ্রে মেরামতের ৪০ হাজার ও প্রাক প্রাথমিকের ১০ হাজার টাকা কোন কাজ না করেই শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সমুদয় টাকা আত্মসাত করেছেন।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ রাম নারায়নপুর স্কুলের সহকারী শিক্ষক বিপুল কুমারকে মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকা সত্বেও সংশ্লিষ্ট প্রদান শিক্ষকের যোগসাজসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়মিত বেতন প্রদান করতেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের পর তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছিল। এলাকাবাসী দ্রুত বিদ্যালয়ের নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে বরাদ্দকৃত অর্থের সুষ্ঠভাবে ব্যয় নিশ্চিত করার দাবি জানায়।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী আমি বুলুন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির দায়িত্ব পালন করছি। ছয় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমি বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাট, ভবন রংসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করছি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পাবনা প্রতিনিধি আর কে আকাশ। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.