প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কম ভোট পাওয়ায় রেকর্ড গড়েছেন নরেন্দ্র মোদি!

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের সরকারপ্রধান হিসেবে আজ রবিবার শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পর মোদি দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেছেন। এ ছাড়া কম ভোটের ব্যবধানে জেতার ক্ষেত্রেও মোদি দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখরের জয়ের ব্যবধান ছিল মোদির চেয়েও কম।
এবারের ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি, যা মোদির দলকে কিছুটা অস্বস্তিতে রেখেছে। জোটের শরিকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বিজেপি। এ ছাড়া এবারের নির্বাচনের ফলে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো মোদির প্রাপ্ত ভোট। যে ব্যবধানে তিনি উত্তরপ্রদেশের বারানসি আসনটি জিতেছেন, তা দলের অস্বস্তির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বারানসি থেকে মোদির জয়ের ব্যবধান এবার এক লাখ ৫২ হাজার ৫১৩টি ভোট। শতাংশের হিসাবে যা ১৩.৪৯ শতাংশ। গত দুবারের চেয়ে এই ব্যবধান বিপুল পরিমাণে কমেছে। অর্থাৎ আগের চেয়ে অনেক কম ভোট পেয়েছেন মোদি।
২০১৪ সালে বারানসি থেকে ৫.৮১ লাখ ভোট পেয়েছিলেন মোদি। ব্যবধান ছিল ৩.৭ লাখ। তিনি হারিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সেবার ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস অজয় রাইকে প্রার্থী করেছিল।
২০১৯ সালে বারানসিতে মোদির ব্যবধান আরও বৃদ্ধি পায়। তিনি ওই কেন্দ্র থেকে ৬.৭৪ লাখ ভোট পেয়েছিলেন। ব্যবধান ছিল ৪.৭৯ লাখ। সেবার তার নিকটতম প্রতিপক্ষ ছিলেন সমাজবাদী পার্টির শালিনী যাদব।
গত দুবার প্রায় চার লাখ এবং পাঁচ লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মোদি। এবার আর তা হয়নি। বারানসি কেন্দ্রেই এবার তার নিকটতম প্রতিপক্ষ হয়েছেন কংগ্রেসের অজয় রাই। অজয় শুধু মোদির ভোটের ব্যবধানই কমাননি, গণনা শুরুর পর প্রাথমিক ‘ট্রেন্ডে’ একবার তাকে পেছনেও ফেলে দিয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, এটাই মোদির সর্বনিম্ন জয়-ব্যবধান। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীদের ইতিহাসেও এত কম জয়ের ব্যবধান বড় একটা দেখা যায় না।
মোদির আগে কেবল একজন প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন, যিনি এর চেয়েও কম ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন। তিনি চন্দ্র শেখর। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের সময়ে তিনি কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই সময় চন্দ্র শেখরের জয়ের ব্যবধান ছিল দেড় লাখেরও কম। শতাংশের বিচারে তা মাত্র ১২.৭৮ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে  তার মেয়াদ ছিল মাত্র ২২৩ দিনের।
চন্দ্র শেখর ছাড়া দেশের ইতিহাসে আর কোনো প্রধানমন্ত্রী নেই, যিনি দেড় লাখের কম ব্যবধানে জিতেছেন। মোদিই ওই তালিকায় দ্বিতীয় সর্বনিম্ন হয়ে রয়ে গেলেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.