প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি পৌঁছেছেন

ঢাকা প্রতিনিধি: আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-২০৩০) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে সকাল ৮টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা দেন এবং ভারতীয় সময় সকাল ১০টায় দিল্লি পৌঁছান।

ধারণা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানিবণ্টন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১২টি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেন। তৃতীয় মেয়াদে সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম নয়াদিল্লি সফর।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল (বুধবার ২ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরকালে প্রকৃতপক্ষে কয়টি চুক্তি হতে পারে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি, কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।

শেখ হাসিনা আজই  হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে বাংলাদেশের ওপর কৌশলগত সংলাপে যোগদান করবেন। একই দিন তিনি তার সম্মানে বাংলাদেশ হাই কমিশনের মৈত্রী হল ও বাংলাদেশ হাউসে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে যোগ দেবেন।

টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা  ভারত সফরকালে ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে এই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকে বসবেন। তিনি একই দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোবিন্দের সাথেও রাষ্ট্রপতি ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁর অবস্থানকালীন আবাসে সাক্ষাৎ করবেন।

৪ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী তিয়ানে আইসিটি মোরিয়ার ভারতীয় সিইওদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন। এছাড়াও তিনি আইসিটি মোরিয়ার কমল মহলে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (আবিবিএফ)’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেং সুই কিয়েট বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন।

কর্মকর্তারা বলেন, নিউইয়র্কের ৭৪তম ইউএনজিএ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে নরেন্দ্র মোদি যে ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, হায়দ্রাবাদ হাউসের বৈঠকে তারা সেই ইস্যুগুলোই পর্যালোচনা করবেন।

একই দিন, কয়েকটি এক্সচেঞ্জ অব এগ্রিমেন্ট ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে এবং হায়দ্রাবাদ হাউস থেকে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে কয়েকটি প্রকল্প শুরু করবেন।

এর আগে ওই দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁর অবস্থানকালীন বাসভবনে দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই দিন সরকারী মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দিবেন এবং হায়দ্রাবাদ হাউসে দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। তাকে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে ফিরবেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.