প্রধানমন্ত্রী আজ পশ্চিমবঙ্গে গেছেন

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক:  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুদিনের সরকারি সফরে শুক্রবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে সকাল পৌনে নয়টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট । শাকিল মেরাজ বিমান মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ)  এই তথ্য জানান।

কলকাতা প্রতিনিধি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে দমদমের নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে শান্তিনিকেতনে যাবেন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজ কলি সেন। শেখ হাসিনা বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দেবেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে একই মঞ্চে থাকবেন নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মোদি আচার্যের ভাষণ দেবেন সমাবর্তনে। শেখ হাসিনাও বক্তব্য দেবেন। তাঁকে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হবে রবীন্দ্র চিত্রাবলি। দেওয়া হবে পেইন্টিং ও রবীন্দ্র গানের সিডি। দুপুরের দিকে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন।

প্রায় আড়াই বিঘা জমির ওপর বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ ভবন বিশ্বভারতীতে পূর্বপল্লির ইন্দিরা গান্ধী সেন্টারের কাছে । এই ভবনে থাকবে সব ব্যবস্থা বাংলাদেশ নিয়ে চর্চা ও গবেষণার । ভবনে রয়েছে জাদুঘর, গ্রন্থাগার, অত্যাধুনিক মিলনায়তন, সেমিনার হল, ফ্যাকাল্টি কক্ষ, অধ্যয়নকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া।

এরই মধ্যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আবহের সঙ্গে মিল রেখে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো ভবনকে। এর প্রবেশপথের দুপাশে থাকছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটি ছবি। দুদিন ধরে বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিকাজ তদারক করেছেন।

বাংলাদেশ ভবনের জাদুঘর সাজানো হয়েছে কবিগুরুর স্মৃতিবাহী সামগ্রী ও স্মারক দিয়ে । বাংলাদেশ নিয়ে যাঁরা এখানে গবেষণা করতে চান, তাঁদের জন্যও সমৃদ্ধ করা হয়েছে ভবনের গ্রন্থাগার। আজই বাংলাদেশ ভবন আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হবে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের হাতে। দুই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ব্যস্ততার ফাঁকে আজ দুপুরে এক ঘণ্টার জন্য অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় মিলিত হবেন বলে জানা গেছে।

শান্তিনিকেতনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতায় যাবেন। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন। সন্ধ্যায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতা চেম্বার নেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী আসানসোলে যাবেন। সেখানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচ ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের পর মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক প্রদান করবেন। অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্য দেবেন। এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কলকাতার নেতাজী সুবাস বসু জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শনিবার রাতে দেশে ফিরবেন। সূত্র বাসস। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.