প্রধানমন্ত্রীর আজকের মন কী বাত

ছবি: সংগৃহীত
কলকাতা প্রতিনিধি: আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মন কী বাত নিয়ে ফের বার্তা দিলেন দেশবাসীকে ৷

এদিন তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ভাবে এগিয়ে এসেছেন ৷ এই লড়াইয়ে সামিল হয়ে খাদ্য সরবরাহে পর্যন্ত সরকারকে সাহায্য কেরছেন ৷ আমরা নিজেরাই তৈরী করছি মেডিক্যাল ইকুয়িপমেন্ট সারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ মোদি আরও বলেছেন. থালি, মোমবাতি ,দিয়া দিয়ে এক ভাবনার জন্ম হয়েছে ৷ সারা দেশে মহাষজ্ঞ চলছে৷ সকলেই তাতে যোগদান দিচ্ছে ৷

সরকার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য covidwarriors.gov.in তৈরী করেছে ৷ এই প্ল্যাটফর্মে ১.২৫ কোটি মানুষ নিজেদের সাহায্য এগিয়ে দিয়েছে৷ সারা দেশে স্থানীয় স্তরে সাহায্য করছেন ৷ আরও মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ৷ নতুন ভাবে সঙ্গবদ্ধ হয়ে ভাছত এই লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাবে ৷
৫০০ টন মাল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে   লাইফ লাইন উড়ান ৷ রেলও  বিভিন্ন জায়গায় মাল পৌঁছে দিয়েছে ৷ সারা দেশে ভারতীয় রেল ৬০ টি রুটে ট্রেন চলছে ৷  ডাকবিভাগ নিজেদের মতো কাজ করছে ৷ প্রধানমন্ত্রী সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছে, গরীবদের তিন মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়েছে ৷
প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৷ তাঁরা স্হানীয় স্তরে যথেষ্ট লড়াই করেছে বলে জানিয়েছেন ৷ যারা করোনার বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়ছেন তাদেরকে হেনস্থা করছেন যারা তদের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন ৷
তিনি বলেন সাফাইকর্মীদের প্রতি নজর বদলেছে মানুষের ৷ ভয় কাটিয়ে পুলিশকে আপনজন ভাবতে শিখেছে মানুষ ৷ চিকিৎসক ,স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি বিনম্র দৃষ্টি করছেন ৷ ভারত নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেখান থেক ওষুধ চাওয়া হয়েছে তাদের প্রতি মানবকিতা দেখিয়ে ভারত সেই ওষুধের যোগন দিয়েছে ৷ তাদের ধন্যবাদে ভারতে গর্বিত হয়েছে ৷ তিনি বলেন মাস্ক করোনার প্রকোপ ঠেকাতে আমাদের জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে ৷ উন্মুক্ত জায়গায় থুতু ফেলা উচিত নয় জেনেও আমরা এই বদ অভ্যাস থেকে বেরোতে পারছিলাম না ৷ এখন সেই সময় এসেছে যখন এই থুতু ফেলার অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া উচিত ৷
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন আজ অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য লগ্ন ৷ এদিন শ্রীকৃষ্ণ ও সূর্যদেবের আশীর্বাদে পান্ডবরা পেয়েছিলেন অক্ষয় পাত্র ,যাতে খাবার কখনও শেষ হয় না ৷ আমাদের দেশের কৃষকরা এই অক্ষয়পাত্র জারি রেখেছে ৷ সারা দেশে অক্ষয় খাদ্য ভান্ডার দিচ্ছে তারা ৷ কৃষকরা মহামারির মধ্যেও  ক্ষেতে কাজ করছেনে নিরন্তর ৷
বিহু, বৈশাখী, ওড়িয়া নরবর্ষ, পয়লা বৈশাখ  সব ঘরে থেকেই পালন করেছেন সবাই ৷  ইস্টারও বাড়িতেও পালন করেছেন ৷ আর বাড়িতে থেকেই  এই লড়াই চালিয়েছে  এই অতিমারির বিরুদ্ধে ৷ এবং লড়াই জিতেছেনও ৷ রমজান মাস শুরু হয়েছে ৷ সকলে সংবেদনশীল ভাবে পালন করবেন ৷ ইদ আসার আগে দুনিয়া যেন করোনা মুক্ত হয় ৷ সারা পৃথিবী যেন করোনা মুক্ত ভারত দেখতে পায় ৷ সমস্ত ধর্মীয় প্রধানরা ২ গজ দূরত্ব ও ঘর থেকে বেরোনা নিয়ে চেতনা বাড়াচ্ছেন ৷
নিজের শহর, গলি তে করোনা আসেনি তাই কখনই আসবে না, এমন ভ্রান্ত ধারনা যেন কারোর না হয় ৷ অতি আত্মবিশ্বাসী হওয়া ভালো নয় ৷ অনান্য দেশের অবস্হা থেকে শেখা উচিত ৷ সর্বশেষ তিনি আবারও মনে করিয়ে দেন নিজেদের মধ্যে ২ গজ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ৷ পরিচ্ছনতা বজায় রাখতে হবে ৷

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.