প্রথম ধাপে স্থগিত খুলনার ৩৪টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ

খুলনা ব্যুরো: বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রথম ধাপে স্থগিত খুলনার ৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা।
খুলনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, ৩৪টি ইউপিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
খুলনা জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, কয়রা, দাকোপ, দিঘলিয়া ও পাইকগাছা উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে।
ইউনিয়নগুলো হলো- খুলনার বটিয়াঘাটার গংগারামপুর, বালিয়াডাঙ্গা, আমিরপুর; কয়রার আমাদি, বাগালী, মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর, কয়রা, উত্তর বেদকাশী, দক্ষিণ বেদকাশী; দাকোপেরে পানখালী, দাকোপ, লাউডোব, কৈলাশগঞ্জ, সুতারখালী, কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, বাজুয়া, বানিশান্তা।
এ ছাড়া দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট, বারাকপুর, দিঘলিয়া, সেনহাটি, আড়ংঘাটা ও যোগীপুল; পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা, রাড়ুলী, গড়ইখালী, গদাইপুর, চাঁদখালী, দেলুটি, লতা, লস্কর ও কপিলমুনি ইউনিয়ন।
এবারের নির্বাচনে খুলনার ৩৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৫৬ জন। এ ছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ৪৬৪ জন এবং ৩০৬ সাধারণ ওয়ার্ডের প্রার্থী রয়েছেন ৯ হাজার ৪৮৩ জন।
এর মধ্যে দাকোপের লাউডোব ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ যুবরাজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া কয়রা উপজেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে শেখ সোহরাব আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
খুলনার ৩৪টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৩ জন ও পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৬ জন।
এবারের ইউপি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দুটি ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে বটিয়াঘাটা উপজেলার গংগারামপুর ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ১৪৭ জন এবং দিঘলিয়ার বারাকপুর ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৪৮৫ জন ভোটার রয়েছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.