প্রতিপক্ষের জন্য ‘দুঃস্বপ্ন’ ভেহর্স্ট

 

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপে উত্তপ্ত কোয়ার্টার-ফাইনালের পর রেগে গিয়ে ভাউট ভেহর্স্টকে ‘গর্দভ’ বলেছিলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তবে নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলায় তিনি নিয়মিতই রাখছেন বুদ্ধিমত্তার ছাপ। সতীর্থরা মনে করছেন, প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে আতঙ্কের নাম ভেহর্স্ট।
চলতি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে কোডি হাকপো, মেমফিস ডিপাই, শাভি সিমন্সদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগে শুরু থেকে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না ভেহর্স্ট। তবে বদলি নেমেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে হামলে পড়ছেন সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার ফরোয়ার্ড।
গোলের ন‍‍্যূনতম সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে দেখা যায় তাকে। তাই তো ডাচ ডিফেন্ডার নাথান আকে মনে করেন, প্রতিপক্ষের জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্ন এই সতীর্থ।
“তার (ভেহর্স্ট) বিপক্ষে খেলা এক দুঃস্বপ্ন। সে শক্ত-সামর্থ্য। ডি বক্সে সে আতঙ্কের নাম। সে সব কিছুর জন্য লড়াই করে, সবকিছুর পেছনে দৌড়ায়। সে আমাদের জন্য অমূল্য সম্পদ।”
পোল্যান্ডের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বদলি নেমে ফল ঠিক করে দিয়েছিলেন ভেহর্স্ট। প্রথমার্ধে দুই দলই করে একটি করে গোল। বদলি নামার দুই মিনিটের মধ্যে আকের পাস থেকে পাওয়া বলে জয়সূচক গোলটি করে ভেহর্স্ট।
পরের ম্যাচগুলোয় গোল পাননি ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। তবে প্রতি ম্যাচেই বদলি নেমে শেষ দিকে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেছেন ভেহর্স্ট। কোয়ার্টার-ফাইনালেই যেমন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঠে নেমে তুরস্কের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন দীর্ঘদেহী ফরোয়ার্ড।
আরেক সতীর্থ হাকপোও তাই দারুণ খুশি ভেহর্স্টের ওপর।
“সে লম্বা। বাতাসে (আসা বলে) খুবই ভালো। বক্সের মধ্যে আসা যে কোনো বলের জন্য সে লড়াই করে। আমি খুবই খুশি যে (কোয়ার্টার-ফাইনালে) ভাউট তার নিজের মতোই খেলেছে।”
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে মাত্র এক জয়ের সঙ্গে এক ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেরা তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোয় ওঠে নেদারল্যান্ডস। পরে রোমানিয়াকে ৩-০ গোলে ও তুরস্কের বিপক্ষে ২-১ গোল জিতে তারা এখন শেষ চারে।
হাকপো ছাড়া আক্রমণভাগের কেউই এখন পর্যন্ত ধারাবাহিক নন। রোমানিয়া ম্যাচে দুই গোল করেন ডোনিয়েন মালেন। আর ৩ গোল নিয়ে যৌথভাবে গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে হাকপো।
বাকিদের ছন্দহীনতা সেমি-ফাইনালে ডাচদের জন্য হতে পারে চিন্তার কারণ। তবে বদলি নেমে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারদর্শী ভেহর্স্টের ভাবনা ভিন্ন। ১৯৮৮ সালের পর আবার ইউরো জেতার স্বপ্ন বুনছেন তিনি।
“ভেতরে এটি (শিরোপা জেতার বিশ্বাস) আছে। এই অনুভূতিটা সবসময়ই ছিল এবং ধীরে ধীরে বাড়ছে। ক্রমেই বড় হচ্ছে সম্ভাবনা।”
ডর্টমুন্ডে বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত একটায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.