প্রকৌশলীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত ওই নারীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি 

প্রতীকী ছবি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলীর অনৈতিক কর্মকান্ডের তদন্ত প্রমানিত হওয়ার পর, প্রকৌশলী মমিনুল ইসলামকে এলজিইডির সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হলেও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তারের বিরুদ্ধে সাড়ে চার মাসেও কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
চাঞ্চল্যকর এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উপজেলা প্রশাসন বলছে কিছুই জানেননা তারা।
জানা যায়, দেবীগঞ্জ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলামের সাথে বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়ে ওঠেছে। এক পর্যায়ে গর্ভধারন করে পরে সেটি ঢাকায় গিয়ে কোন হাসপাতালে গর্ভপাত করেন।
পরে প্রকৌশলী বিয়ে নিয়ে তালবাহানায় প্রথমে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে মুঠোফোনে ও পরে ২৭ জানুয়ারি প্রধান প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রিতু আক্তার।
অভিযোগের পরিপেক্ষিতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এলজিইডি, রংপুর বিভাগ। দাখিলকৃত ১২ পাতা ডকুমেন্ট আলট্রাসনোগ্রাফি ও হিমাটোলজি প্রতিবেদন ৭ পাতা মেসেজের কথোপকথন ও সরেজমিন তদন্ত করে অভিযুক্ত মমিনুল ইসলাম উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডির ভাবমূর্তি পরিপন্থী মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) পরিপন্থী হওয়ায় তাকে এলজিইডি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে ১ ফেব্রুয়ারী প্রধান প্রকৌশলীর বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বাদী মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে, ১০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্পে ২৫ ফেব্রুয়ারী প্রধান প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন করেন। যা লিখেছেন আবেদনে, তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে আবেগবশত সংক্ষুব্ধ হয়ে নানা কথা বলি। যার কোন স্থায়ী ডকুমেন্ট নাই। জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন অভিযোগ করা ঠিক হয়নি, আমি অনুতপ্ত বোধ করছি। এবং অভিযুক্ত প্রকৌশলী মমিনুল ইসলামকে দেবীগঞ্জ উপজেলায় স্ব-স্থানে বহাল ও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার। তবে অভিযোগকারী মুঠোফোনে এবিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
অভিযুক্ত উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, আমার সাথে ব্লাক মেইল করা হয়েছে, পরে আবার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চিশতি বিটিসি নিউজকে জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলী কর্মঠ মানুষ। পরবর্তীতে তাদের নামে বিরুপ কথাবার্তা শুনে আসছি তবে আমার বিশ্বাস হয়নি। কিছুদিন আগে সেই কাগজও পেলাম হাতে তবে নিজেরাই সুরাহা করে নিয়েছে। প্রথমে আবেদন করে পরে সেটা প্রত্যাহার করেছে।সময় সাপেক্ষে বুঝা যাবে কি ব্যবস্থা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.